কলকাতা: চাঁদের দক্ষিণ মেরুর (Lunar South Pole) মাটিতে সালফার পাওয়া গিয়েছে, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিল চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) মিশনের রোভার প্রজ্ঞান (Pragyan)। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্স-এ ইসরো (ISRO) জানিয়েছে, ইন-সাইটু এক্সপেরিমেন্ট চলছে, রোভারের লেজার ইন্ডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ (LIBS) চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে সালফারের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র এও জানিয়েছে, হাইড্রোজেনের (Hydrogen) খোঁজ চলছে।
বুধবার ইসরো জানায়, সালফার ছাড়াও প্রজ্ঞান অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, লোহা (ফেরাস), ক্রোমিয়াম, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন এবং অক্সিজেনের (Oxygen) উপস্থিতি টের পেয়েছে। এলআইবিএস হল এক ধরনের বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া যা লেজার রশ্মির সাহায্যে খনিজ পদার্থের কম্পোজিশন পরিমাপ করে।
বিভিন্ন গভীরতায় চাঁদের মাটির তাপমাত্রা পরিমাপ করেছে প্রজ্ঞান। তার ফলাফল দিয়ে ইসরো বানিয়েছে একটি গ্রাফ। সেই গ্রাফ অনুযায়ী, চন্দ্রপৃষ্ঠের গভীরতা যত বাড়ে তত তাপমাত্রা কমতে থাকে।
আরও পড়ুন: চন্দ্রাভিযানের সাফল্যের রেশ কাটেনি, এর মধ্যেই সূর্যের পথে পা বাড়াচ্ছে ভারত
প্রসঙ্গত, চাঁদে এক সপ্তাহ কাটিয়ে ফেলেছে ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) এবং রোভার প্রজ্ঞান। সূর্যের আলো থাকবে আর সাতদিন। যা করার এই এক সপ্তাহে করতে হবে প্রজ্ঞানকে। প্রজ্ঞানের চাকার যা সাইজ তাতে বড় গর্ত বা পাথর টপকে যাওয়া সম্ভব নয়। তার উপর তার গতিবেগও বেশি নয়, সেকেন্ডে এক সেন্টিমিটার মাত্র। ২৫ তারিখ ইসরোর তরফে জানানো হয়, আট মিটার পথ অতিক্রম করেছে প্রজ্ঞান। সোমবার একটি টুইটে ইসরো জানায়, চার মিটার গর্তের সামনে পড়ে গতিপথ বদলে ফেলেছে প্রজ্ঞান। ঠিকঠাক কাজ করছে তার চারটি পেলোড ইলসা, চ্যাস্টে, রম্ভা এবং অ্যারে।
২৩ অগাস্ট, ২০২৩, ভারতের মহাকাশ গবেষণায় এক চিরস্মরণীয় দিন। সেদিন ভারতীয় সময় সন্ধে ৬.০৪ নাগাদ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে ইসরোর (ISRO) চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram)। আজ পর্যন্ত কোনও দেশ অজানা, অচেনা দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে পারেনি। সফট ল্যান্ডিংয়ের (Soft Landing) কয়েক ঘণ্টা পর বিক্রমের শরীর থেকে বেরিয়ে আসে ছয় চাকাওয়ালা রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan)।