নয়াদিল্লি: এক দেশ, এককালীন ভোটের পক্ষে কেন্দ্রের শাসকদল সওয়াল করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। বিরোধীরা বিরোধিতা করছে শুরু থেকেই। কিন্তু মানুষ কী চাইছে? এ সংক্রান্ত এক ছোট্ট সমীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে এক দেশ, এককালীন ভোটের পক্ষে সায় দিয়েছেন ৮১ শতাংশ উত্তরদাতা। সোমবার একথা জানাল কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক (Ministry of Law & Justice)।
৫ জানুয়ারি সরকার এমন প্রস্তাবে সাধারণ মানুষের মতামত চায়। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ই-মেল মারফত প্রস্তাব দেওয়ার সুযোগ ছিল। তবে আইনমন্ত্রক এও জানিয়েছে, মাত্র ২০৯৭২ জন এই উদ্যোগে সাড়া দেন। তার মধ্যে ৮১ শতাংশ এককালীন ভোটের পক্ষে সায় দিয়েছেন। দেশের ১৪০ কোটি জনসংখ্যার নিরিখে এই সমীক্ষার তাই গুরুত্ব নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুন: রামমন্দির নিয়ে ভারত-পাক বাগযুদ্ধ
সমীক্ষার জন্য পূর্বতন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kobind) নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়ে সরকার। কমিটিতে ছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী নেতা গোলাম নবি আজাদ, আইন ও বিচার মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, পঞ্চম অর্থ কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এন কে সিং, বর্ষীয়ান আইনজীবী এবং প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল হরিশ সালভে ও অন্যান্যরা। ২১ জানুয়ারি কমিটির বৈঠক হয়।
এছাড়াও ৪৬টি রাজনৈতিক দলের মতামত সরকার চেয়েছিল। ১৭টি দল প্রস্তাব পাঠিয়েছে। নির্বাচন কমিশনও তাদের অভিমত জানিয়েছে। এছাড়াও কমিটি বিশিষ্ট আইন বিশেষজ্ঞ, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ও হাইকোর্টগুলির প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, নির্বাচন কমিশনের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, ফিকি, অ্যাসোচেম এবং সিআইআই-এর মতামত নিয়েছে। ২৭ জানুয়ারি ওই কমিটির পরবর্তী বৈঠক।
প্রসঙ্গত, ১৯৫১-৫২ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভার ভোট হয়েছে। কিন্তু তারপর সেই প্রথা ভেঙে যায়। ফলে এখন প্রায় প্রতিবছরেই কোনও না কোন ভোট হচ্ছে। ফলে বিপুল খরচ বহন করতে হচ্ছে, নিরাপত্তা বাহিনীকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় টেনে নিয়ে যেতে হচ্ছে, সরকারি অফিসারদের নিজস্ব কাজ স্থগিত রেখে ভোটে যুক্ত হতে হচ্ছে। সেই কারণেই একই সময়ে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট করতে চাইছে কেন্দ্র।