নয়াদিল্লি: একের পর সাফল্যের সোপান চড়ছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) অনন্য সাফল্যের পর লঞ্চ হয়েছে দেশের প্রথম সৌর মিশন আদিত্য এল১ (Aditya L1)। এবার আরও বড় লক্ষ্যের জন্য কাজ করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ভারতের প্রথম নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন বানাতে চলেছেন তাঁরা। ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ (S Somnath) জানিয়েছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই স্পেস স্টেশনের প্রথম মডিউলগুলো লঞ্চ করবেন।
ইসরোর সামনে নতুন লক্ষ্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২০৩৫ সালের মধ্যে ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরি এবং কর্মক্ষম হয়ে যাবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। মহাকাশ স্টেশনটিকে বসানো হবে লো আর্থ অরবিটে। এর নাম হতে পারে ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন। এখনও পর্যন্ত রাশিয়া, আমেরিকা এবং চীনের নিজস্ব স্পেস স্টেশন আছে। চতুর্থ দেশ হয়ে উঠতে পারে ভারত।
আরও পড়ুন: চৌকিদারের পর বিজেপির নয়া স্লোগান, ‘মোদি কা পরিবার’
মহাকাশ স্টেশনটিকে কেমন দেখতে হবে তার এক কাল্পনিক ছবি দেখানো হয়েছে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে (VSSC)। সেখানকার ডিরেক্টর ডঃ উন্নিকৃষ্ণন নায়ার (D. Unnikrishnan Nair) জানিয়েছেন, কাজ চলছে জোর কদমে। স্পেস স্টেশনকে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিমি দূরের কক্ষপথে নিয়ে যেতে ব্যবহার করা হতে পারে ভারতের সবথেকে শক্তিশালী ‘বাহুবলী’ রকেট অথবা লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩।
জানা গিয়েছে, মহাকাশ স্টেশনের প্রধান অংশের ওজন হতে পারে ২০ টন। পরে এর সঙ্গে জোড়া হবে বিভিন্ন অংশ। শেষে সমগ্র জিনিসটির ওজন ৪০০ টনের বেশি হবে। স্টেশনের একদিকে থাকবে ক্রু মডিউল এবং রকেটের ডকিং পোর্ট যেখান থেকে আনা নেওয়া করা হবে মহাকাশচারীদের। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (International Space Station) ডকিং পোর্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই বানানো হচ্ছে ভারতের মহাকাশ স্টেশনের ডকিং পোর্ট।
দেখুন অন্য খবর: