নয়াদিল্লি: পথ-কুকুরদের খাওয়ানোর জেরে তারা আঞ্চলিক হয়ে পড়ছে। মানুষকে আক্রমণ করছে। সারমেয়প্রেমীদের (Dog Lover) প্রতি দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)।
১৮ মাসের কন্যাকে একদল কুকুর টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে খুবলে নেয়। তার মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা মামলায় দিল্লি সরকার, নয়া দিল্লি মিউনিসিপাল কাউন্সিল এবং দিল্লি পুলিশের ১০ দিনের মধ্যে জবাব তলব হাইকোর্টে। যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।
আরও পড়ুন: হিংসা, বোমাবাজির ঘটনা রুখতে পুলিশকে কড়া বার্তা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের
সমস্যা হল, বহু লোক পথের কুকুরকে খাওয়ানোর জন্য গাড়ি নিয়ে আসছেন। তাঁরা খাইয়ে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু কুকুরগুলি সেই এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে না। তারা বুঝে যাচ্ছে, এখানে থাকলেই খাবার মিলবে। খাবার খুঁজতে যাবার তাগিদ তাদের থাকছে না। সেই এলাকায় তাদের স্থায়ী রাজ তৈরি হচ্ছে। সেখানে যেকোনো মানুষকে তারা আক্রমণ করে বসছে। পথ কুকুরদের খাওয়ানো খারাপ নয়। কিন্তু নিশ্চিত খাবার পেয়ে গেলে তাদের অন্য কিছু করার থাকছে না। এটাও ভেবে দেখতে হবে। অভিমত বিচারপতি সুব্রামনিয়াম প্রসাদের।
কর্তৃপক্ষকে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ।
দিল্লির তুঘলক লেনের ধোবিঘাট এলাকায় থাকি। কুকুরগুলি মেয়েকে টেনে নিয়ে যায়। উদ্ধার করার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল। অথচ পথে ঘোরা প্রাণীদের জন্য আদালতের নির্দেশ আছে। সরকারি গাইডলাইন আছে। কুকুরদের দাপাদাপি, তাদের হিংস্রতা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসী অভিযোগ জানিয়েছে আগেই। কিন্তু, তাদের অভিযোগকে কর্তৃপক্ষ গুরুত্বই দেয়নি। অভিযোগ মামলাকারীর।
২০২৩ সালের এনিম্যাল বার্থ কন্ট্রোল রুলস কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হোক ও বদমেজাজি কুকুরদের ধরে উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। কন্যার মৃত্যুর যথাযথ তদন্ত করুক পুলিশ। যে সরকারি কর্তৃপক্ষের কুকুর ধরে চিকিৎসার দায়িত্ব, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হোক বলে মামলাকারীর প্রার্থনা।
আরও খবর দেখুন