Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeআন্তর্জাতিকSupreme Court: সাধারণ মানুষের থেকে আইন মানার বাধ্যবাধ্যকতা আইন প্রণেতাদেরই বেশি 

Supreme Court: সাধারণ মানুষের থেকে আইন মানার বাধ্যবাধ্যকতা আইন প্রণেতাদেরই বেশি 

Follow Us :

নয়াদিল্লি: ইংরেজি নববর্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের নতুন একটি ডায়েরি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। ২০২৩ সালেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শীতের ছুটি কাটিয়ে সোমবারই শুরু হল আদালত। এদিনই নতুন পাতা গন্ধ মাখা ডায়েরিও হাতে পেলেন আইনজীবীরা। এ পর্যন্ত আশ্চর্যের কোনও কথা নেই। খবরের জাতেও ওঠে না এই কথাগুলো। কিন্তু, এই ডায়েরির প্রতিটি পাতার নীচে রয়েছে ইংরেজিতে লেখা ‘হিতোপদেশ’। ভুল করছেন, ঠিক ঠাকুরমার মুখে শোনা হিতোপদেশের ফলশ্রুতি নয়। মহান-বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কোনও লেখা বা বক্তব্য থেকে সংগ্রহ করা। এতক্ষণে নিশ্চই হতাশ হয়ে পড়েছেন।

না, এবার আসল কথাটা পাড়া যাক। ওই ডায়েরির প্রথম পাতাতেই রয়েছে, এমন একটা কথা, যা আইনজীবীদের নজর কেড়েছে। বস্তুত বিতর্কও ঘনিয়ে তুলতে পারে। কারণ, এই বক্তব্যে একদিকে যেমন রয়েছে আইন প্রণেতাদের বিবেক বোধ জাগরণ করা দুরমুশ। অন্যদিকে, তেমনই রয়েছে যে সংসদে একের পর এক আইন তৈরি হয়, সেই রাজনৈতিক নেতাদের আইন মান্য করে চলার কর্তব্যের প্রতি সচেতনা জাগিয়ে তোলার খোঁচা। বিচার ব্যবস্থার প্রতি দেশের সাধারণ মানুষের অগাধ আস্থা রয়েছে। মানুষ আইন সচেতন হয়ে ওঠায় যে কোনও রাজ্য এমনকী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ডায়েরির প্রথম পৃষ্ঠার পাদটিকায় প্রখ্যাত ফরাসি নাট্যকার জঁ অ্যানুলিহ্-র একটি মন্তব্য লেখা রয়েছে। যার অর্থ হল, আইন মেনে চলতে হবে এমন পবিত্র বাধ্যবাধকতা কারও নেই। কিন্তু, যাঁরা আইন তৈরি করেন, তাঁদের কিন্তু সেই বাধ্যবাধকতা আছে। ঘুরিয়ে বললে বলা যায়, আইন প্রণয়নকারীরা যে আইন তৈরি করেন, তার প্রতি আনুগত্য কিংবা নিষ্ঠা দেখানো তাঁদেরই বাধ্যবাধকতা। সাধারণ মানুষের থেকেও তাঁদেরই আইনের প্রতি বেশি যত্নশীল হতে হয়।

আরও পড়ুন:Bogtui Anubrata: বগটুই-কাণ্ডে অনুব্রতর যোগ, আদালতে হলফনামায় জানাল সিবিআই

ফরাসি নাট্যকার জঁ অ্যানুলিহ্ হলেন চার ও পাঁচের দশকের প্রখ্যাত ও বিতর্কিত নাট্যকার। গ্রিক পুরাণ অবলম্বনে সোফোক্লেসের নাটক আন্তিগোনে থেকে নতুন আঙ্গিকে ও রূপায়িত নাটক করেন ফরাসি নাট্যকার জঁ অ্যানুলিহ্। বিশেষত সেই সময় ফ্রান্সে চলছিল ভিসি সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক শাসন। যার প্রধান ছিলেন মার্শাল পিটেই। ফরাসি ফ্যাসিবাদের জনক পিটেইয়ের সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর আন্তিগোনের সংলাপ ক্ষুরধার আক্রমণ শানিয়েছিল। আন্তিগোনে নাটকের একটি অংশে ক্রেয়নের মুখে আন্তিগোনে সম্পর্কে অনেক কথার মধ্যে এই সংলাপটিও একটি। 
সুতরাং, ডায়েরির প্রথম পাতাতেই আইন প্রণেতাদের প্রতি তাঁদের দায়িত্ববোধ মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বল অনেক আইনজীবীর মত। তাঁরা বলেন, ক্ষমতাধারীরা অনেক সময়ই ভাবেন না, আইন প্রণয়ন ও রাজনীতি একই আসনে বসতে পারে না। আইন নিজের পথে চলে, রাজনীতি নিজের। মানবিক মূল্যবোধের নাট্যকারের এই সংলাপ সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলে তাঁদের মত।

RELATED ARTICLES

Most Popular