কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কোনও কারণ না দেখিয়েই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি পাঠক্রম থেকে বাদ দেওয়া হল মহাশ্বেতা দেবীর ছোট গল্প ‘দ্রৌপদী’। ১৯৯৯ সাল থেকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত ছিল মহাশ্বেতা দেবীর এই গল্পটি। কোনও কারণ না দেখিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওভারসাইট কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা।
আরও পড়ুন- যোগীরাজ্যে পাঠ্যসূচি থেকে বাদ রবীন্দ্রনাথ, পড়তে হবে রামদেব
একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা জানিয়েছেন, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার, সাহিত্য একাডেমী ও পদ্ম বিভূষণ প্রাপ্ত লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর এই গল্পটির শিক্ষাগত গুণের কারণেই এতদিন পড়ানো হয়েছে। আচমকাই কোনও আলোচনা না করে এই গল্প বাদ দেওয়ায় তোলপাড় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক মহল।
মহাশ্বেতা দেবীর ছোটগল্প ‘দ্রৌপদী’ ছাড়াও আরও দুজন দলিত লেখকের ছোটগল্প ইংরেজি সিলেবাস থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলিল লেখক বামা আর সুকর্তারিণীর লেখা বাদ দিয়ে সেখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে উচ্চবর্ণীয় রমাবাইকে। তবে, মহাশ্বেতা দেবীর গল্প বাদ দেওয়ার পর সেই জায়গায় অন্য কোনও গল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এমনকি মহাশ্বেতা দেবীর অন্য কোনও গল্পও অন্তর্ভুক্ত করতে রাজি হয়নি কমিটি। এমনটাই অভিযোগ করেছে একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা।
আরও পড়ুন- লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের লাইনে দাঁড়াচ্ছেন ‘ভিখারিরা’, দিলীপের মন্তব্যে বিতর্ক, বিঁধল তৃণমূল
ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিদ্যার মত বিষয়েও সিলেবাস কমিটির সঙ্গে কথা না বলেই পাঠ্যক্রম বদল করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওভারসাইট কমিটির চেয়ারম্যান এমকে পণ্ডিত।