শিশু দিবসের দিন বড় সিদ্ধান্ত কেরলের পকসো আদালতের। গত জুলাই মাসে ৫ বছরের এক ছোট্ট মেয়েকে যৌন নির্যাতনের পর নৃশংসভাবে খুন করার জন্য দোষী সাব্যস্ত যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিলেন বিচারক কে সোমন। তিনি বলেন, এই অপরাধের কোনও ক্ষমা হতে পারে না। বিচারকের মতে, মামলাটি বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধের নজির। সেজন্য দোষী ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে প্রমাণ নষ্ট করার জন্য আসফাক আলম নামে ওই ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, শিশুকে মাদক সেবন করানোর জন্য তিন বছর, ধর্ষণ করার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং নাবালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেই জানান বিচারক।
ঘটনার ১০৯ দিনের মধ্যে সাজা ঘোষণা করা হল। রেকর্ড সময়ে ওই রায় দিয়েছে আদালত। চার্জশিট পেশ হওয়ার মাত্র ২৬ দিনের মধ্যে মামলার শুনানি শেষ করে রায় দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: পুকুরে মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য
জুলাই মাসে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল আদতে বিহারের বাসিন্দা ওই শিশুকন্যা। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে স্থানীয় বাজারের পিছন দিকের একটি জলাভূমির ধারে রাখা একটি বস্তার ভিতরে মেলে তার দেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, যৌন নির্যাতনের পর নৃশংসভাবে খুন করা হয় ওই নাবালিকাকে। ওই দিনই মদ্যপ অবস্থায় উদ্ধার হয় আশফাককে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, ওই যুবকই নাবালিকাকে অপহরণ করে মাদক খাইয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে ধর্ষণ করার পর অবশেষে খুন করে। তারপর প্রমাণ লোপাট করার জন্য মৃতদেহটি বস্তার ভেতরে ঢুকিয়ে ফেলে দিয়ে আসে জলাজমির ধারে।
দেখুন আরও খবর: