লখনউ: দীর্ঘ টানাপড়েনের পর অবশেষে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হল। বুধবার লখনউতে দুই দলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে সমঝোতার কথা জানায়। ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৭টিতে লড়াই করবে কংগ্রেস। বাকিগুলিতে অখিলেশের দল লড়বে। ঠিক হয়েছে, মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো কেন্দ্রে কংগ্রেসের সমর্থনে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন সমাজবাদ পার্টির রাজ্য সভাপতি নরেশ উত্তম পটেল এবং জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাজেন্দ্র চৌধুরী। কংগ্রেসের তরফে ছিলেন প্রদেশ সভাপতি অজয় রাই এবং এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ পাণ্ডে।
এদিনই দুপুরে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ কুমার যাদব বলেন, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আমার কোনও মতবিরোধ নেই। লোকসভা ভোটে কংগ্রেস আর সমাজবাদী পার্টি একসঙ্গেই লড়াই করবে। তবে দুই দলের এই আসন সমঝোতা খুব সহজে হয়নি। গত তিন মাস ধরে দুই দলের মধ্যে আসন নিয়ে টানাটানি চলছিল। অখিলেশ শুরুতে গোটা আটেক আসন ছাড়তে রাজি ছিলেন কংগ্রেসকে। কংগ্রেসের দাবি ছিল অন্তত ২০টি আসন। শেষে অখিলেশ ১১টি আসন ছাড়ার কথা বলে। দুই দলের আলোচনা চলাকালীনই অখিলেশ একতরফা দফায় দফায় দলের আসন ঘোষণা করে দেন। তা নিয়ে দুই দলের মনোমালিন্যও হয়। এই অবস্থায় রাহুলের ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রায় অখিলেশের দল যোগ দেবে কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দেয়। রায়বেরিলিতে রাহুলের যাত্রা ঢোকার পর অখিলেশ তাতে যোগ দেননি। তাতে রাজনীতির কারবারিরা মনে করেন, উত্তরপ্রদেশে ইন্ডিয়া জোটের দুই দলের মধ্যে কোনও সমঝোতা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বেরোলেন দেব
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-৭)
কংগ্রেস মোরাদাবাদ এবং বালিয়ার আসনদুটি ছাড়তে রাজি ছিল না। কংগ্রেস সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সরাসরি ফোন করেন অখিলেশকে। তিনি সমাজবাদী পার্টির নেতাকে বলেন, মোরাদাবাদ এবং বালিয়ার বদলে হাথরস, শ্রাবস্তী আর বারাণসীর মধ্যে যে কোনও দুটি আসন ছাড়লেই হবে। অখিলেশ তাতে রাজি হন। তাতেই শেষে জট কাটে। এসপি নেতা নরেশ জানান, কংগ্রেস রায়বেরিলি, কানপুর, আমেথি, গাজিয়াবাদ ছাড়া আরও ১৩টি আসনে লড়বে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: