নয়াদিল্লি: কংগ্রেসে যোগদান করতে চলেছেন দেশের জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কানহাইয়া কুমার(Kanhaiya Kumar)। এই বিষয়ে দেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। এমনই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। আরও বড় বিষয় হচ্ছে, কংগ্রেসের সঙ্গে কানহাইয়ার সেতু বন্ধনের কাজ করেছেন প্রশান্ত কিশোর(Prashant Kishore)।
জাতীয় রাজধানী দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা ছিলেন কানহাইয়া কুমার। বিজেপি বিরোধী কর্মসূচিতে বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে আসেন ২০১৬ সালের শুরুর দিকে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সময় থেকেই ভারতের রাজনীতিতে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দল সিপিআই(CPI)-এর হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- আদালতের নির্দেশে উপাচার্যের বাসভবনে কনস্টেবল, গেটের তালা ভাঙল পুলিশ
সেই ব্যক্তিই যোগ দিতে চলেছেন কংগ্রেসে। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সাহায্য করা ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। যা নিয়ে বৈঠক শুরু করেছেন রাহুল-সোনিয়া। কোন পদে প্রশান্ত কিশোরকে বসানো হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। এরই মাঝে প্রশান্তের হাত ধরে হাত শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন কানহাইয়া।
বিজেপিকে রুখতে সকলকে এক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী লোকসভা নির্বাচনের পরে যাতে কোনও অবস্থাতেই আর কেন্দ্রের ক্ষমতা বিজেপির হাতে না যায় সেই লক্ষ্যে সকল বিরোধীদের একজোট হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কানহাইয়ার কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়া সেই পরিকল্পনার অঙ্গ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন- কাশ্মীরের মুসলিমদের জন্য কথা বলার ‘অধিকার’ রয়েছে, দাবি তালিবানের
গত লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জিততে না পারলেও ভোটের জন্য বিপুল পরিমাণ চাঁদা তুলে চমকে দিয়েছিলেন কানহাইয়া। লোকসভা নির্বাচনের সময়ে জনগণের থেকে সাহায্য নিয়ে ৭০ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন তিনি। সুবক্তা হিসেবে পরিচিত কানহাইয়াকে দল তিরষ্কার করে গত ডিসেম্বর মাসে। পাটনায় এক দলীয় নেতার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার জন্য শাস্তির শিকার হতে হয় তাঁকে। তারপর থেকেই চুপ ছিলেন কানহাইয়া।
আরও পড়ুন- পুজোর মুখে বাঁকুড়ার বাজার মাতাচ্ছে জঙ্গলি ছাতু
সপ্তাহ খানেক আগে বিহারের শাসক জেডি(ইউ) দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন কানহাইয়া। তালিকায় মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ছাড়াও জেডি(ইউ) নেতা অশোক চৌধুরীও ছিলেন। কানহাইয়া কুমারকে দলে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ছিলেন জেডি(ইউ) মুখপাত্র অজয় অলোক। যা নিয়ে জল্পনা শুরু হলেও তাতে জল ঢেলে অশোক চৌধুরী বলেন, “অনেকেই এলাকার উন্নয়নের জন্য আমাদের কাছে আসেন। এর মধ্যে কোনও জল্পনা নেই।”