নয়াদিল্লি: কেউ বলছেন, বলির পাঁঠা৷ কেউ বলছেন, অতিমারি ব্যর্থতার কোপ৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ডক্টর হর্ষ বর্ধনের (Harsh Vardhan) পদত্যাগের কারণ নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে বিরোধী থেকে রাজনৈতিক মহলে৷
আরও পড়ুন: মেগা শপথ, বৃহস্পতি বার মন্ত্রীদের নিয়ে হাই-টি মোদির
ক্ষমতায় আসার দু’বছর পর মোদি ২.০ মন্ত্রিসভার (Modi 2.0 Cabinet) বহু প্রতীক্ষিত প্রথম সম্প্রসারণ৷ কারা কারা মন্ত্রিসভায় জায়গা পাবেন কারাই বা বাদ পড়বেন তা নিয়ে কৌতূহলের অন্ত ছিল না৷ অবশেষে আজ বুধবার সেই প্রতীক্ষা শেষ হয়৷ অনেক নতুন মুখকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসেন মোদী-শাহ জুটি৷ তেমনই সম্প্রসারণের জেরে পদ হারাতে হয়েছে হেভিওয়েট নেতাদের৷ বাদ পড়াদের তালিকায় সবার উপরে আছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধনের নাম৷ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগেই তিনি পদত্যাগ করেন৷
এর পরই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে ওঠে অনেক প্রশ্ন৷ কারও কারও মতে, হর্ষ বর্ধনকে সরিয়ে সরকার প্রমাণ করে দিল মহামারী সামলাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে৷ প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেন, ‘মহামারী সামলাতে ব্যর্থ মোদি সরকার৷ হর্ষ বর্ধনের ইস্তফা সরকারের সহজ সরল স্বীকারোক্তি৷’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেন পদত্যাগ করলেন আমি বলতে পারব না৷ উনাকে নিশ্চয় পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে৷ শুধু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘাড়ে সব দোষ চাপিয়ে লাভ কী? কোভিড নিয়ে সব বৈঠক তো প্রধানমন্ত্রী করেছেন৷’
আরও পড়ুন: ‘পেট্রোল কী বাত করুন!’ : মমতা
করোনার প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পর বিশ্ব জুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিল মোদি সরকার৷ কিন্তু দ্বিতীয় ওয়েভের ঝাপটা সব ওলট-পালট করে দেয়৷ আক্রান্তের সংখ্যা যত বাড়তে থাকে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা ততই প্রকট হয়ে পড়ে৷ এক সময় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষের উপর উঠে যায়৷ হাসপাতালগুলির বাইরে শুধু রোগী ভর্তির লাইন৷ শয্যা না পেয়েই রাস্তার ফুটপাতে শুয়ে থাকতে দেখা যায় করোনা রোগীদের৷ বহু হাসপাতালে চরমে ওঠে অক্সিজেন সঙ্কট৷ নদীতে ভাসতে দেখা যায় মৃতদেহ৷ তার উপর টিকার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে৷ সব মহলেই নিন্দার মুখে পড়ে মোদি সরকার৷ আর ব্যর্থতার দায় ঘাড়ে নিয়েই হর্ষ বর্ধনকে সরতে হল বলে মনে করা হচ্ছে৷