নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের শেষ বাজেট (Budget 2024)। বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Minister of Finance of India) নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে ষষ্ঠবারের জন্য বাজেট পেশ করলেন নির্মলা। ২০২৪-এর বাজেট বক্তৃতায় নারী শক্তির কথা উঠে এল অর্থমন্ত্রীর মুখে। দেশ জুড়ে গত ১০ বছরে মহিলাদের উন্নয়নে কী করা হয়েছে, বাজেটে সে কথা তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারামন।
মহিলাদের জন্য ‘লাখপতি দিদি’
৮৩ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে দেশে। মহিলাদের ক্ষমতায়ন হচ্ছে। এর ফলে এক কোটি মহিলা স্বনির্ভর হয়েছেন। যা অন্য মহিলাদের কাছে উদাহরণ। নির্মলার সংযোজন, ‘লাখপতি দিদি’-র সংখ্যা দু’কোটিতে নিয়ে যাওয়া হবে।
বাজেট বক্তৃতায় নির্মলা সীতারামন বলেন, মহিলাদের ক্ষমতায়নের মধ্যে দিয়ে গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বদলাচ্ছে। গ্রামীণ মহিলাদের জীবনযাত্রায় বদল এসেছে। এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সাফল্যে ১ কোটি মহিলা লাখপতি দিদি হয়েছেন। মহিলাদের এই সাফল্যকে স্বীকৃতি দিতেই এবার ‘লাখপতি দিদি’-র সংখ্যা ২ কোটি থেকে ৩ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
সীতারামন বলেন, আগামী ৫ বছরেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। ২০৪৭-এর মধ্যে বিকশিত ভারত গঠনই লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের। আর সেই লক্ষ্যপূরণেই মোদি সরকারের ফোকাস থাকবে গরিব, মহিলা, যুব ও কৃষকদের উপর। তাঁদের সার্বিক ও সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে মোদি সরকার। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, গত ১০ বছরে দেশে নারীশক্তির ব্যাপক বিকাশ হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে মেয়েদের সংখ্য়া ৩০ শতাংশ বেড়েছে। কাজের জায়গায় মেয়েদের সংখ্যা বেড়েছে। তিন তালাক রদ, সংসদে মেয়েদের জন্য রিজারভেশন ও গ্রামীণে ৭০ শতাংশ পিএম আবাস যোজনার ঘর মহিলাদের আরও শক্তিশালী করেছে।
আরও পড়ুন: আয়করে কোনও পরিবর্তন হল না
‘লাখপতি দিদি’ প্রকল্প কী?
দেশের সকল মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে মোদি সরকারের প্রকল্প ‘লাখপতি দিদি যোজনা’। দেশের মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং তাঁদেরকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করার কথা বলেছে কেন্দ্র সরকার। এইজন্য ওই মহিলাদের দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। নরেন্দ্র মোদীর সরকার স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং দিয়ে ২কোটি মহিলার ক্ষমতায়ন করার লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্প শুরু করেছিল। ২০২৪-এর বাজেটে সেই মাত্রাই বাড়ানো হল।
২০২৩-এ স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লার থেকে ‘লাখপতি দিদি’ প্রকল্পর কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানান, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সাথে যুক্ত প্রায় ১০ কোটি মহিলা উপকৃত হবেন। এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মধ্যে রয়েছে ‘ব্যাঙ্কওয়ালি দিদি’, ‘অঙ্গনওয়াড়ি দিদি’, ‘মেডিসিনওয়ালি দিদি’। প্রকল্পের অধীনে মহিলাদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, ক্ষমতায়ন এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি করা হবে। সেই সঙ্গে দেওয়া হবে বীমা এবং ঋণের সুবিধাও।
প্রকল্পের সুবিধা পেতে কী করবেন?
প্রকল্পের সুবিধা পেতে, মহিলাকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। মহিলাদের কোনও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক। আবেদন করার সময়ে দিতে হবে আধার কার্ড, আয় এবং বসবাসের শংসাপত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল নম্বর, পাসপোর্ট সাইজ ফটো।
আরও খবর দেখুন