উত্তরকাশী: অবশেষে উদ্ধার করা গিয়েছে ৪১ জন শ্রমিককেই। ১৭ বা ৪০০ ঘণ্টা পরে ফের ‘প্রাণ’ ফিরে পেয়েছেন তাঁরা। ঝাড়খণ্ডের বিজয় হোরো প্রথম সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর ধীরে ধীরে সবাই। ‘অপারেশন জিন্দেগি’র চূড়ান্ত পর্ব চলল সন্ধে ৭.৪৯ থেকে রাত ৮.৩৮। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।
প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “উত্তরকাশীতে শ্রমিক ভাইদের উদ্ধারকার্যের সাফল্য যে কাউকে আবেগাপ্লুত করবে। সুড়ঙ্গে যাঁরা আটকে ছিলেন, তাঁদের সবাইকে আমি বলতে চাই যে আপনাদের সাহস এবং ধৈর্য সবাইকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমি সবার কুশল এবং সুস্বাস্থ্যের কামনা করছি।”
আরও পড়ুন: মানুষই বাঁচাল মানুষকে, অবশেষে উদ্ধার ৪১ জনই
उत्तरकाशी में हमारे श्रमिक भाइयों के रेस्क्यू ऑपरेशन की सफलता हर किसी को भावुक कर देने वाली है।
टनल में जो साथी फंसे हुए थे, उनसे मैं कहना चाहता हूं कि आपका साहस और धैर्य हर किसी को प्रेरित कर रहा है। मैं आप सभी की कुशलता और उत्तम स्वास्थ्य की कामना करता हूं।
यह अत्यंत…
— Narendra Modi (@narendramodi) November 28, 2023
মোদি আরও বলেন, “এটা অত্যন্ত আনন্দের কথা যে দীর্ঘ অপেক্ষার পর আমাদের সঙ্গীরা তাঁদের প্রিয়জনদের সঙ্গে মিলিত হবেন। এই আত্মীয় পরিজনরা সবাই যে ধৈর্য এবং সাহসের পরিচয় দিয়েছেন তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। আমি এই উদ্ধার অভিযানে যুক্ত সবাইকে সেলাম করছি। তাঁদের বাহাদুরি এবং সঙ্কল্প-শক্তি আমাদের শ্রমিক ভাইদের নতুন জীবন দিল। এই মিশনে শামিল প্রত্যেকে মানবতা আর টিমওয়ার্কের অদ্ভুত উদাহরণ দিয়েছেন।”
উত্তরকাশীর সিলকিয়ারা সুড়ঙ্গে ধস নামে সেই ১২ নভেম্বর। ১৩ নভেম্বর যখন গোটা দেশ দিওয়ালির উৎসব করছে, আসমুদ্রহিমাচল যখন আলোর রোশনাইতে মেতে, ওই ৪১টি জনের হৃদয় অন্ধকারাচ্ছন্ন। শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টায় কোনও কোনও ত্রুটি ছিল না অবশ্য। কিন্তু বারবার ধাক্কা খেতে হয়েছে, এমনকী আমেরিকা থেকে আনা খনন যন্ত্র পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত মানুষের প্রাণ বাঁচাল মানুষই। ইঁদুর যেমনভাবে গর্ত করে, সেভাবেই শেষ ১২ মিটার খনন করে ১২ জনের দল। আহার-নিদ্রা ভুলে টানা খনন করে এতগুলো প্রাণ বাঁচালেন তাঁরা। তাঁরাই এই উদ্ধারকার্যের আসল নায়ক।