কলকাতা: সাত মাস আগে শোভন চট্রোপাধ্যায়ের বিধানসভা দখল করেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়৷ এরপর মঙ্গলবার কলকাতা পুরভোটের ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল ১৩১ ওয়ার্ডেও জয়ী হয়েছেন রত্ন৷ ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের থেকেও তিনি বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন৷ একই সঙ্গে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ১০ হাজার ২০৬ ভোটে হারিয়েছেন তিনি৷ দ্বিতীয়স্থানে থাকা সিপিএমের রঞ্জন সেনগুপ্ত মাত্র ২ হাজার ৯৯৪টি ভোট পেয়েছেন৷ নির্বাচন কমিশন থেকে জয়ী শংসাপত্র নিতে যাওয়ার পথে রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘শোভনের শেষ সম্বলটুকুও কেড়ে নিলাম৷ উনি মানুষের থেকে দূরে গিয়েছিলেন৷ এলাকার মানুষ আমার প্রতি ভরসা রেখেছেন৷ তাঁদের জন্য কাজ করতে চাই৷’
মঙ্গলবার সকালে ভোট গণনার প্রথম রাউন্ড থেকেই বেহালার এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়। শেষ রাউন্ড পর্যন্ত তিনি এগিয়েই থাকেন৷ তাঁর জয়ের পর রত্না বলেন, “শোভনবাবুর থেকে বেশি ভোটে জিতলাম। ১৩১ ওয়ার্ডের মানুষ আমাকে বিশ্বাস করেছেন। গত শোভন চট্টোপাধ্যায় ৬ হাজার ২০০ ভোটে জিতেছিল। আমি ১০ হাজার ২০৬ ভোটে জিতেছি। গত চার বছরে আমি ওঁদের পাশে ছিলাম। ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড, যেখানে আমার বাড়ি, সেটা আমার নিজের দখলে রাখতে পারলাম। এবার একটা দিন ওঁরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি আজ ভীষণ খুশি।”
রত্নার অভিযোগ, কাউন্সিলর হয়েও গত সাড়ে তিন বছরে শোভনবাবু এলাকায় আসেননি। যাবতীয় দায়িত্ব তাঁকেই সামলাতে হয়েছে। ২০১০ সালে এই ওয়ার্ড থেকে জিতে মেয়র হয়েছিলেন শোভনবাবু। কিন্তু এই ওয়ার্ডের মানুষের আস্থার দাম দেননি তিনি। তাই ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ তাঁকে ভুলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-ঝড়ের নাম ফৈয়াজ-অনন্যা, ভোট মার্জিনে রেকর্ড গড়ে ছোট লাল বাড়িতে তৃণমূলের দুই প্রার্থী
২০০৫ সালের কলকাতা পুরভোটে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শোভা ঘোষ জিতে কাউন্সিলর হন। তৃণমূলের টিকিটে লড়েছিলেন তিনি। তার পর ২০১০ সালের পুরভোটে এই ওয়ার্ডে জিতে কাউন্সিলর হন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এই ওয়ার্ডে ২০১৫ সালের পুরভোটেও জিতে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন। সেই ওয়ার্ডে এবারে জয়ী হলেন শোভনের স্ত্রী রত্না৷