কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির (Primary Recruitment Corruption Case) তদন্ত নানাভাবে ব্যাহত করার চেষ্টা চলছে বলে আদালতে অভিযোগ করল সিবিআই (CBI)। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিদেবী বলেন, এই দুর্নীতির তদন্তে আমরা আরও কিছু সম্পত্তি চিহ্নিত করেছি। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এদিনও আদালতের তোপের মুখে পড়তে হয় ইডিকে (ED)। বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানতে চান, বাজেয়াপ্ত করতে এত সময় লাগছে কেন। ধীরাজ বলেন, আমরা নমুনা সংগ্রহ করছি। তার রিপোর্ট আসবে। আরও সম্পত্তি আছে কি না, তারও খোঁজ চলছে। তাই সময় লাগছে। বিচারপতি বলেন, যে গতিতে তদন্ত চলছে, তাতে তো সবাই ছাড়া পেয়ে যাবে। ইডি আর কিছুই পাবে না। তখনই ধীরাজ বলেন, আপনারা কি ভেবেছিলেন যে, সব কিছুই খুব মসৃণ হবে?
আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিল পেশ
এদিন এই মামলার সূত্রেই সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য সোনার কেল্লা সিনেমার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, আমার সোনার কেল্লার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেখানেও গোয়েন্দাদের কাঁটা বিছানো পথ পেরিয়ে যেতে হয়েছিল। শেষে তাঁর সত্যের অনুসন্ধান করতে পেরেছিলেন। এখানেও আমরা আশাবাদী।
চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, যে ৯৪ জনের চাকরি অবৈধ বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, সেই জায়গায় নিয়োগ শুরু হোক। বিতর্কিত চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) বলেন, পুরনো প্যানেল থেকে নিয়োগ করা যায় না। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ করতে হয়। আদালত এই নির্দেশ দিতে পারে না। বিচারপতি সিনহা বলেন, আদালত ঠিক করেছে, এবার বেআইনি চাকরি বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ মার্চ।
অন্য খবর দেখুন