মারিসদা: লোকসভা নির্বাচন ( loksabha election 2024) চলাকালীন ২০২১ সালে বিধানসভার ভোটপরবর্তী হিংসার তদন্তে পূর্ব মেদিনীপুরে (East midnapore) সিবিআই ( CBI Raid)। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার (Post-poll violence case) তদন্তে সাতসকালে ৩ নম্বর ব্লকের ভাজাচাউলির ২ তৃণমূল নেতা নন্দদুলাল মাইতি ও দেবব্রত পণ্ডার বাড়িতে হাজির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ভোট পরবর্তী হিংসার বলি চাঁদু(ওরফে জন্মেঞ্জয়) দোলাই। সেই মামলায় তদন্তের পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা এলাকার ভাজাচাউলির সিজুয়াতে সিবিআই। দুই তৃণমূল নেতার বাড়ি-সহ একাধিক জায়গায় যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মারিশদার সিজুয়া গ্রামে সকাল সোয়া ৬টা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘিরে ফেলেন গোয়েন্দারা। তারপর বাড়িতে ঢুকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় (Post-poll violence case) একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে নাম থাকলেও শুক্রবার মূলত দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছে। সিজুয়া গ্রামের নন্দদুলাল মাইতির বাড়িতে হানা। তার ছেলের সন্ধানে এসেছে, তার ছেলের নাম বুদ্ধদেব মাইতি, তিনি কর্মসূত্রে হাওড়াতে আছেন।এদিন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা বুদ্ধদেবকে না পেয়ে নন্দদুলালকে জেরা করার চেষ্টা করে, তবে ব্যর্থ হয়। দেবব্রত পণ্ডার বাড়িতেও সিবিআই। অপরদিকে, তৃণমূল নেতা দেবব্রত পন্ডা কে না পেয়ে তার মেয়েকে জেরা করে বলে খবর। নন্দদুলাল মাইতির সঙ্গে সিবিআই কথা বলছে।
আরও পড়ুন:দেশের প্রথম মেট্রো পা রাখছে দেশের প্রাচীনতম সরকারি বিজ্ঞান জাদুঘরে
প্রসঙ্গত, উওর কাঁথির বাথুয়াড়ি এলাকার বাসিন্দা বিজেপি নেতা জন্মেঞ্জয় দোলাই কাঁথি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় মশাঁগা ব্রিজের কাছে তৃণমূল নেতারা তাকে মারধর করে বাইকে করে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরে ভাউচাউলি অঞ্চলের কাদুয়া এলাকার একটি মাঠে তার ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় ১১ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৬ জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে।মৃত জন্মেঞ্জয় দোলাইয়ের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানায়। পরবর্তীতে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।
দেখুন ভিডিও