নয়াদিল্লি: ইন্ডিয়া জোটের অধিকাংশ শরিক যখন তিন রাজ্যের ভোটের ফলের জন্য কংগ্রেসকে দুষছে, তখন তাদের পাশে দাঁড়াল রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। দলের সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav) মঙ্গলবার বলেন, কংগ্রেস মোটেই দুর্বল হয়নি। এই ফলাফলে এটা প্রমাণ হয়নি যে, এখনও শক্তিশালী নয়। আগামী লোকসভা ভোটে আমরা ইন্ডিয়া জোটে (INDIA Alliance) কংগ্রেসের সঙ্গেই আছি।
রবিবার ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং তেলঙ্গানার ভোটের ফল প্রকাশিত হয়। গোবলয়ের তিন রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস হেরেছে। কংগ্রেসের একমাত্র লাভ হল তেলঙ্গানায় দশ বছর পর কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিআরএসকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করা। রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে তাদের সরকার ছিল। কিন্তু দুই সরকারই কংগ্র্সের হাতছাড়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রেবন্ত রেড্ডিই তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী: রাহুল
রবিবার রাত থেকেই জেডিইউ, তৃণমূল কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্স, সমাজবাদী পার্টির মতো ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করতে শুরু করে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য করেন, তিন রাজ্যের ভোটের এই ফলাফল বিজেপির সাফল্য নয়, কংগ্রেসের ব্যর্থতা। কংগ্রেস যদি ঠিকমতো আসন সমঝোতা করত, তাহলে এই ফল হত না। এর পাশাপাশি অবশ্য মমতা বলেন, কংগ্রেস এই ফলাফল থেকে শিক্ষা নিয়ে লোকসভা ভোটে ঠিকঠাক আসন সমঝোতা করলে বিজেপি হারবে, ইন্ডিয়া জিতবে। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা তো ইন্ডিয়ার অস্তিত্ব নিয়েই সংশয় প্রকাশ করেন। জেডিইউ নেতা কে সি ত্যাগী কংগ্রেসকে আত্মম্ভরী বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, এর থেকে কংগ্রেসের শিক্ষা নেওয়া উচিত।
পাঁচ রাজ্যের ভোটের আগেই জেডিইউ, তৃণমূল আসন সমঝোতার আলোচনা শুরু করার জন্য কংগ্রেসকে চাপ দিয়েছিল। তখন কংগ্রেস তাদের পাত্তা দেয়নি। তারা বলেছিল, পাঁচ রাজ্যের ভোটের পর ইন্ডিয়া জোট নিয়ে নড়েচড়ে বসা হবে। রবিবার ভোটের ফল প্রকাশের দিনই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে ৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে তাঁর বাসভবনে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হবে বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু আগামিকাল বুধবারের ওই বৈঠকে অনেকেই থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানান, তাঁকে কেউ ফোন করেও বৈঠকের কথা জানাননি। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় তিনি দিল্লিতে যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ইন্ডিয়ার বৈঠক এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে হবে বলে খাড়্গে মঙ্গলবার জানিয়েছেন। আগামিকাল জোট শরিকদের সংসদীয় দলের একটি বৈঠক হবে। সোমবার বিরোধী দলগুলির সংসদীয় কমিটির বৈঠকে শরিকরা কংগ্রেসের সমালোচনা করে। কংগ্রেস নেতৃত্ব কার্যত নীরবই থাকেন।
আরও অন্য খবর দেখুন