কলকাতা: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাওয়ার পথে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)। কেরলের সফর কাটছাঁট করে সোমবার সকালেই বোস কলকাতায় আসেন। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি সন্দেশখালি রওনা দেন। মালঞ্চতে পৌঁছতেই রাস্তার দুধারে একশো দিনের কাজের টাকার (Hundred Days Work Money) দাবিসম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকা তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। অনেক মহিলা লাইন করে রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়েছিলেন। এক জায়গায় মহিলারা রাজ্যপালের কনভয়ের সামনে চলে আসেন। মিনিট পাঁচেকের জন্য কনভয় থমকে যায়। রাজ্যপাল গো ব্যাক, একশো দিনের টাকা দাও প্রভৃতি স্লোগান ওঠে। পরে পুলিশ রাজ্যপালের কনভয় বার করে দেয়।
এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) শনিবারের অবস্থান থেকে পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যান সোমবার। শনিবার তিনি ঘোষণা করেছিলেন, সোমবার বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা থেকে সন্দেশখালি রওনা দেবেন। শুভেন্দু হুমকি দিয়েছিলেন, দেখি, আমাদের আটকানোর ক্ষমতা কাদের আছে। এদিন তিনি বিধানসভার গেটে দাঁড়িয়ে বলেন, সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। আমরা অনেকেই যাব। রামপুরে ওরা আমাদের আটকাতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা চারজন মহিলা বিধায়ককে যেতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করব।
আরও পড়ুন: কৃষক বিক্ষোভ আটকাতে হরিয়ানা সরকারের যুদ্ধকালীন তৎপরতা
শনিবার বিরোধী নেতা রাজ্যপালের উদ্দেশে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে বলেন, আপনাকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিলাম। তার মধ্যে আপনি সন্দেশখালিতে গিয়ে ১৪৪ ধারা তোলার ব্যবস্থা করুন। ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করুন। না হলে সোমবার থেকে আমরা রাজভবনে ধরনা দেব। এদিন রাজ্যপাল সন্দেশখালি যাওয়ায় শুভেন্দু তাঁকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আমাদের অনুরোধ মেনে রাজ্যপাল সন্দেশখালি গিয়েছেন। এর জন্য তাঁর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এদিন বিজেপি সদস্যরা গায়ে সন্দেশখালি, পাশে আছি লেখা অ্যাপ্রোন পরে বিধানসভায় যান। শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরার গ্রেফতারির দাবিতে বিধানসভা উত্তাল হয়। স্পিকার বিজেপি বিধায়কদের অ্যাপ্রোন পরে আসা নিয়ে আপত্তি করেন। বিরোধী সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে স্লোগান তোলেন। তাঁর ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে স্পিকার শুভেন্দু-সহ ছয় বিজেপি বিধায়ককে শনিবার পর্যন্ত সাসপেন্ড করেন। কিছুক্ষণ পর অবশ্য বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা কক্ষ ত্যাগ করেন।
অন্য খবর দেখুন