কলকাতা: আপাতত স্বস্তি পেলেন তৃণমূলের (TMC) বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম। আজ, বুধবার ছিল সপ্তম দফার মনোয়নপত্র স্ক্রুটিনির শেষ দিন। মনোনয়ন পত্র যাচাই করার পর প্রাথমিক ভাবে ক্লিনচিট পেলেন বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর। রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকে ক্লিনচিট পেলেন হাজি নুরুল ইসলাম বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর। একই ভাবে গ্রিন সিগন্যাল পেলেন দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়ও। তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতা পৌর সংস্থা থেকে চেয়ারপার্সন হিসাবে সাম্মানিক নেওয়ার অভিযোগ জানান বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সেই বিষয়ে দুই রিটার্নিং অফিসার মনোনয়ন পত্র যাচাই করে ক্লিনচিট দিয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: বাড়ির দখল পেতে মধুপর্ণার অনশন জারি
বুধবার রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে জানান, মালা রায় (Mala Roy) ও হাজি নুরুলের মনোনয়নপত্রে গুরুতর গলদ আছে। তা ছাড়া সঠিক আইন মেনে মনোনয়নপত্র জমা করা হয়নি। তাই ওই দুই তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দুই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীরা। বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের অভিযোগ, হাজি নুরুল ইসলাম পঞ্চদশ লোকসভার সদস্য ছিলেন। সেই পঞ্চদশ লোকসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৪ সালের ১৮ মে।
দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন। কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন থাকার যে বিধিবদ্ধ আইনগুলি রয়েছে তাতে তা একটি অফিস অফ প্রফিট। পশ্চিমবঙ্গের যেসব অফিসের নাম অফিস অফ প্রফিটের তালিকায় আছে তার মধ্যে কলকাতা পুরসভার নাম নেই। তাই কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন থাকাকালীন সেখান থেকে পদত্যাগ না করে দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা করে অফিস অফ প্রফিট আইন লঙ্ঘন করেছেন। সেই কারণে দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়ের মনোনয়ন বাতিলের আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।
আরও খবর দেখুন