কৃষ্ণনগর: চাঁদার জুলুমে নিগৃহীত (Beaten) হাসপাতালের (Hospital) এক চিকিৎসক (Doctor)। অবস্থার অবনতি হলে অন্যত্র স্থানান্তর করে চিকিৎসকেরা। ঘটনায় পুলিশের জালে গ্রেফতার এক অভিযুক্ত।
নদীয়ার (Nadia) ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক সুজন দাসকে পূজোর চাঁদার জন্য রাস্তায় ফেলে নিগৃহীত করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি রবিবার ফুলিয়া বুইচা ঘোষ পাড়া এলাকার। জানা গিয়েছে, এই এলাকায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল। ১৫/১৬ জনের একটি দল রাস্তায় যে যাচ্ছেন তার গাড়ি থামিয়ে তার থেকেই চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল। এই সময় ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক সকালে এমার্জেন্সি ডিউটি ধরার জন্য আসছিলেন। তাকে রাস্তায় আটকে চাঁদা চাওয়া হয়। সুজনবাবুর অভিযোগ, তিনি ফুলিয়া হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয় দিলেও তাঁকে ছাড়া হয়নি। ভুল করে মানিব্যাগ ফেলে রেখে এসেছেন বলে জানালে তাঁকে গালাগালি দিয়ে নিগৃহীত করা হয়। তাঁর মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ট্যাক্সি থেকে সমুদ্রে ঝাঁপ যুবকের
কোনও রকমে ফুলিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে খবর গেলে চিকিৎসককে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ। সাথে সাথেই অভিযুক্তকে তুলে এনে আটক করে পুলিশ। সুজনবাবু ফুলিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ জমা করেছেন। অন্যদিকে পরবর্তীতে আহত চিকিৎসক সুজন দাসের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা রানাঘাটে সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করে। তবে এই ঘটনায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আধিকারিক ডাঃ পূজা মৈত্র বলেন আমরা পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছি। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। একজন অন ডিউটি চিকিৎসকের সাথে এই ঘটনায় আমরা খুবই দুঃখিত, আরও যারা এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে পুলিশ দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আরও খবর দেখুন