কলকাতা: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Justice Abhijit Gangopadhyay ) রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তুলল আইনজীবীদের একাংশ। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ২৫৩ জন আইনজীবী প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননমকে (Chief Justice T S Sivagnanam) চিঠি দিয়ে এই ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেছেন। তাঁদের মতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় গত ২৫ জানুয়ারি এজলাসে বসে অ্যাডভোকেট জেনারেলকে (এজি) যে সব কথা বলেছেন, তা মানহানিকর, অপমানজনক। এতে হাইকোর্টেরও অবমাননা হয়েছে। তাই বিচারপতিকে ক্ষমা চাইতে হবে এজির কাছে।
গত ২৫ জানুয়ারি মেডিক্যাল দুর্নীতির (Medical Corruption Case) এক মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চের এক বিচারপতি সৌমেন সেনের নাম করে বলেন, উনি রাজনৈতিক স্বার্থে রায় দিচ্ছেন। তিনি কিছু রাজনৈতিক নেতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। কেন ওই বিচারপতিকে ইম্পিচ করা হবে না, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। সেই সময় এজির সঙ্গেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তিনি এজিকে বলেন, কার পদলেহন করে আপনি দ্বিতীয়বারের জন্য এজি হয়েছেন, তা আমার জানা আছে। এজি বলেন, আপনাকে তো বিজেপি ভোটে টিকিট দিতে চেয়েছে। বিচারপতি অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: দুই বিচারপতির দ্বন্দ্ব নিয়ে লজ্জিত কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি
ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অবৈধ বলে ঘোষণা করে তাঁর পুরনো রায় বহাল রাখেন। রায়ে গোটা ঘটনা উল্লেখ করেন তিনি। সেই রায় হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২৭ জানুয়ারি ছুটির দিনেও পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে দুই বিচারপতির দ্বন্দ্ব নিয়ে শুনানি হয়। তার আগেই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন করে। ওই বেঞ্চ দুই বিচারপতিরই সমস্ত বিচার প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দেয়। মঙ্গলবার হাইকোর্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে প্রাথমিক শিক্ষার সমস্ত মামলা সরিয়ে দেয়। তাঁকে শ্রম এবং শিল্প সংক্রান্ত মামলা শুনতে বলা হয়েছে।
আরও অন্য খবর দেখুন