কোচবিহার: বিজেপির চাপিয়ে দেওয়া কিছু মানতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার কোচবিহারের প্রশাসনিক সভায় (Administrative meeting of Cooch Behar) মমতা বলেন, ওরা যেটা চাপিয়ে দেবে, সেটাই যেন দেবতা। আমি তো রামমন্দিরের কোনও বিরোধিতা করিনি। আমি বলেছি, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। ওরা যাকে দেবতা মানবে, আমাকেও তাই মানতে হবে নাকি? এ সব করতে আমি বাধ্য নই। এদিন তিনি ফের অভিযোগ করেন, বিজেপি ধর্ম আর রাজনীতিকে মিশিয়ে দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি রামায়ণ (The Ramayana) পড়েছি, বাইবেল (Bible) পড়েছি, গ্রন্থসাহেব পড়েছি, ত্রিপিটক পড়েছি। ভোট এলেই বিজেপি নেতারা তফসিলি সম্প্রদায়ের (Scheduled Community) লোকজনের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করেন। আমাকে সে সব করতে হয় না।
গত ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনের (Inauguration of Ram Mandir) দিন মমতা হাজরা মোড় থেকে পার্কসার্কাস পর্যন্ত সংহতি মিছিল করেন। পরে পার্কসার্কাসে এক সভায় বলেন, নেতা তিনিই হন, যাঁর দুপাশে হিন্দু, মুসিলম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সব ধর্মের লোক থাকেন। প্রসঙ্গত, ওইদিনের মিছিলে মমতার পাশে সব ধর্মের লোকজন ছিলেন। সেদিন তিনি বলেন, ওরা তো সীতার নাম নেয় না, কৌশল্যার নাম নেয় না। কৌশল্যা, সীতা ছাড়া রাম হয়?
আরও পড়ন: কংগ্রেসের ন্যায় যাত্রা নিয়ে একটি শব্দও শোনা গেল না মুখ্যমন্ত্রীর মুখে
সোমবারও কোচবিহারের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওদের মুখে জল্পেশ্বরের কথা নেই, মদনমোহন মন্দিরের কথা নেই। এরপরই তিনি লম্বা ফিরিস্তি দেন, উত্তরবঙ্গের জন্য তৃণমূল কী কী করেছে। ইদানীং সভা-সমাবেশে ধর্মীয় স্থানের জন্য তৃণমূল সরকার কী কী কাজ করেছে, তার বিবরণ দেন। তিনি বলেন, আমরা দক্ষিণেশ্বর করেছি, কালীঘাট করেছি, নলাটেশ্বরী করেছি, লোকনাথ মন্দির করেছি, মসজিদ করেছি, গির্জা করেছি।
গত লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election ) উত্তরবঙ্গ তৃণমূলকে শূন্য হাতে ফিরিয়েছিল। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ কিছুটা পুনরুদ্ধার করতে পারলেও অনেক আসনে তৃণমূল হেরেছে। তাই এবারের লোকসভা ভোটে মমতার পাখির চোখ উত্তরবঙ্গ। তিনি মাঝে মাঝেই উত্তরবঙ্গে ছোটেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেও ফেলেন, আমি উত্তরবঙ্গে প্রায়ই আসি। উত্তরবঙ্গ আমার হৃদয়ে রয়েছে। সিপিএম ৩৪ বছরে কী করেছে। কতদিন সিপিএমের মন্ত্রীরা কোচবিহারে বা উত্তরবঙ্গে এসেছে। জনতার উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের জন্য আমি কী না করেছি।
আরও অন্য খবর দেখুন