মুর্শিদাবাদ: বহরমপুর (Baharampur) বিখ্যাত ছানাবড়া আর খাওয়ার হল না রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। দোকানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হাত নাড়লেন কংগ্রেস নেতা। সাড়ে ৯ কেজি ছানাবড়া তৈরি করা হয়েছিল রাহুল গান্ধীর জন্য। তা রাহুলকে দিতে না পারায় আশাহত হলেন বহরমপুরের মিষ্টি ব্যাবসায়ী অরুণ দাস।
১১৭ বছর পর বহরমপুরের ছানাবড়ার স্বাদ চেখে দেখেন রাজনীতির অন্যতম যুব আইকন রাহুল। তত দিনে অবশ্য বহরমপুরের ছানাবড়ার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে ছানাবড়া খাওয়ার আবদার করেছিলেন ‘স্নেহের রাহুল। বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ের প্রসিদ্ধ এক মিষ্টান্ন দোকানে বসে রাহুল গান্ধী ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে ছানাবড়া খেয়ে গিয়েছিলেন। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় সহ রাহুল গান্ধী বহরমপুরের ওই দোকানে বসে সুস্বাদু ছানাবড়া খেয়ে গিয়েছিলেন। শুক্রবার রাহুল গান্ধী বহরমপুর আসছেন শুনে সাজো সাজো রব পড়ে গিয়েছিল ওই দোকানে। চারিদিকে রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে সাজানো থেকে দোকানের কর্মীদের একই রকম পোশাক সহ ফুলের তোড়া তৈরি ছিল ,দুদিন আগে সাড়ে ৯ কেজি ছানাবড়া তৈরি করা হয়েছিল রাহুল গান্ধীর জন্য।
আরও পড়ুন: ভর্তিতে ভুয়ো এস টি সার্টিফিকেট, বাতিল ছাত্রীর লাইসেন্স
এদিন দুপুর থেকে টেক্সটাইল মোড়ের ওই দোকানে সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী অরুণ দাস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাহুল গান্ধী টেক্সস্টাইল মোড় আসতেই হাতে ফুলের ডালা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন অরুণ দাস সহ তার পরিবারের লোকজন। কিন্তু এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যাওয়ায় রাহুল গান্ধী তাঁর হুড খোলা জীপ থেকে আর নামতে পারলেন না। পাশে থাকা অধীর চৌধুরী ওই মিষ্টির দোকানটাকে দেখিয়ে দিলেও রাহুল গান্ধী হাত নারিয়ে চলে গেলেন। যা দেখে হতাশ ওই মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সহ তাঁর স্ত্রী।
আরও অন্য খবর দেখুন
