বোলপুর: বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) পূর্বপল্লির মাঠেই শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) পৌষমেলা (Poush Mela) অনুষ্ঠিত হবে ঘোষণা করলেন বীরভূমের (Birbhum) জেলাশাসক। বিশ্বভারতীর ইতিহাসে এই প্রথম বেনজির ঘটনা। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা পূর্বপল্লির মাঠেই মেলা পরিচালনা করবে রাজ্য সরকার তথা বীরভূম জেলা প্রশাসন।
শান্তিনিকেতন পৌষমেলা নিয়ে এদিন বীরভূম জেলা প্রশাসনের ডাকা বৈঠক হয় বোলপুর মহকুমা শাসকের দফতরে। উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, জেলার পুলিশ সুপার, ব্যবসায়ী সমিতি সকলেই। সেই বৈঠকেই সিলমোহর পড়ল পূর্বপল্লির মাঠেই এ বছর রাজ্য সরকার শান্তিনিকেতন পৌষমেলা করছে। আগামিকাল, বুধবার থেকেই শুরু হয়ে যাবে প্রস্তুতি।
আরও পড়ুন: মোদির সঙ্গে বৈঠকে বাংলার প্রাপ্য আদায়ের হুঙ্কার মমতার
ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা না হলেও বিকল্প মেলা হচ্ছেই। রাজ্য নির্দেশের পরই জানিয়ে দেয় বীরভূম জেলা প্রশাসন। কিন্তু কোন মাঠে মেলার আয়োজন ধোঁয়াশা থেকে যায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। সোমবারও অধিক রাতেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি কোনওপক্ষই। তবে বিজেপি নেতা অনুপম ঘোষ তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টে দাবি করেন, শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লি মাঠেই হবে পৌষমেলা। তিনি তাঁর পোস্টে লেখেন, অবশেষে সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে শান্তিনিকেতনের মেলা মাঠেই পৌষমেলা। সবাইকে আমন্ত্রণ।
যদিও জেলা প্রশাসন ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ চারদিন ধরে চিঠি চালাচালির পরও মেলার ঠিকানা ঠিক হয়নি। শনিবারের ৯ দফা শর্তের পর সোমবার ফের বাদ সেধেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের একাধিক শর্ত। সেই শর্ত অধিকাংশ লাঘব হলেও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লি মাঠে মেলার আয়োজন নিয়ে অনেকটা পদক্ষেপ এগিয়েছে। তবে কোনও পক্ষই মেলার ঠিকানা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
সোমবার ফের বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি কর্মসমিতি বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পৌষমেলার জন্য রাজ্য সরকারকে পূর্বপল্লির মাঠ দেওয়া হবে। তিন বছর পর পূর্বপল্লির মাঠে ফের রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিকল্প পৌষমেলার সম্ভাবনা তৈরি হলেও আদৌ সিদ্ধান্ত কী হবে। ডাকবাংলো মাঠ, না শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লি, তা জানার জন্য মুখিয়ে ছিলেন হস্তশিল্পী, ব্যবসায়ী, পর্যটক থেকে শুরু করে বোলপুর শান্তিনিকেতনের বাসিন্দারা।
অন্য় খবর দেখুন