কলকাতা: শহিদ মিনারে এবার ধরনায় (Dharna at Shahid Minar) বসলেন চাকরিহারা (SSC recruitment Verdict)। ধরনায় বসে নিজেদের প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দ্বারস্থও হবেন। সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল করেছে। প্রায় ২৬ হাজার চাকরিপ্রাপকের চাকরি বাতিল হয়ে গেল। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, নতুন চাকরি পাওয়ার প্রক্রিয়া ১৫ দিনের মধ্যেই শুরু হবে। তাঁদের মধ্যে অযোগ্যরা যেমন রয়েছেন, যোগ্য প্রার্থীরাও তো রয়েছেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশে রাতারাতি চাকরিহারা তাঁরাও। সেই চাকরিহারাদের একাংশ মঙ্গলবার সকালেই শহিদ মিনার চত্বরে জমায়েত শুরু করেন।
আরও পড়ুন: পিএসসির প্রশ্নফাঁস মামলায় সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ আদালতের
কলকাতা তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি। রোদের তেজে পুড়ছে মহানগর। এই রোদ গরমকে উপেক্ষা করেই চাকরিহারারা ধর্মতলায় জড়ো হয়েছেন। এসেছেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা-প্রান্ত থেকে। তাদের বক্তব্য, তাঁরা অবৈধ উপায়ে চাকরি পাননি। কেন অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের জন্য তাঁদেরও শাস্তি পেতে হবে? ১৯ হাজারের তো কোনও দোষ নেই। এক শিক্ষক বলেন, আমরা অযোগ্য সেটা প্রমাণ করে বার করে দিক। আমার বিরুদ্ধে তো কোনও অভিযোগ নেই। এটা কোনও রায় হল? যেখানে বিচার ব্যবস্থাতেই বলা রয়েছে, পাঁচ জন অপরাধী ছাড়া পেয়ে যাক, কিন্তু এক জন নিরপরাধী যেন শাস্তি না পায়। এখানে ১৯ হাজার নিরপরাধী শাস্তি পেয়ে যাবে? অন্য আর এক চাকরিহারা প্রার্থী বলেন, এই রায় একেবারেই অন্যায্য। ১৯ হাজার যোগ্যকে বলি দেওয়া হল ৫ হাজার অযোগ্যকে বাঁচানোর জন্য। চাকরিহারাদের দাবি তারা অন্যায়ের শিকার হয়েছে। জানা গিয়েছে,যতদিন না দাবি চাকরি ফেরত না পায়, ততদিন ধরনায় বসে নিজেদের প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থও হওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা। কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে রাজ্য সরকারও।
অন্য খবর দেখুন