Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeScrollচতুর্থ স্তম্ভ (Fourth Pillar) | শ্রাবণ মাস, নিরামিষ আর প্রধানমন্ত্রীর অজ্ঞতা
PM Narendra Modi

চতুর্থ স্তম্ভ (Fourth Pillar) | শ্রাবণ মাস, নিরামিষ আর প্রধানমন্ত্রীর অজ্ঞতা

Follow Us :

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নবরাত্রী, শ্রাবণ মাসের মত পূন্য দিনগুলোতেও যাঁরা আমিষ খান, তাঁদের ভোট দেবেন? এমনিতে আমাদের এন্টায়ার পলিটিক্যাল সাইন্স নিয়ে পড়াশুনো করা প্রধানমন্ত্রীর অজ্ঞতা নিয়ে কেউ কোনওদিন কোনও প্রশ্নও করেন নি, করার প্রয়োজনও ছিল না। এক সীমাহীন অজ্ঞতা তাঁর প্রতিটা কথায়, সে এ প্লাস বি হোল স্কোয়ার হোক বা নালা থেকে পাইপ দিয়ে মিথেন গ্যাস দিয়ে স্টোভ জ্বালানো হোক বা মেঘের আড়াল দিয়ে রাডার কে ফাঁকি দেওয়া, এসমস্ত কথায় বোঝা যায় তাঁর সীমাহীন অজ্ঞতা। সেই অজ্ঞতার পরিচয় আবার দিলেন। নবরাত্রী আর শ্রাবণ মাসের পূণ্যদিনে আমিষ খাবার যারা খায় তারা যে পাপী, সেই কথা বললেন। এর আগে নকড়া ছকড়া বিজেপি আর এস এস নেতারা বলতো, এবারে সেটা প্রধানমন্ত্রী নিজেই বললেন। শুনেই আমার বিবেকানন্দের কথা মনে পড়লো, উনি বলেছিলেন, “ঐ যে হিমালয় পাহাড় দেখছ, ওরই উত্তরে কৈলাস, সেথা বুড়ো শিবের প্রধান আড্ডা। ঐ বুড়ো শিব ডমরু বাজাবেন, মা কালী পাঠা খাবেন, আর কৃষ্ণ বাঁশী বাজাবেন,—এদেশে চিরকাল। যদি না পছন্দ হয়, সরে পড় না কেন ?” হ্যাঁ পাঁঠা খাওয়া না পছন্দ হলে সরে পড়ুন, ফালতু কথা বার্তা বলা বন্ধ করুন। মানুষ ভোট দিয়েছে, কাজের হিসেব দেখিয়ে ভোট চান, মানুষ কী খাবে কী খাবে না তা ঠিক করে দেওয়ার জ্যাঠামশাই আপনি নন। যে দেশ আপনারা চালাচ্ছেন, তার সম্বন্ধে একটু জেনে নিন। ২০২১ র হিসেব অনুযায়ী আমাদের দেশের ৭১ % মানুষ আমিষ খায়, মাংস খায়, মানে খেতে চায়, বিরিয়ানি খেতে চায়, আর ২৯% মানুষ নিরামিষাসি। এবং যতই ভেজ ভেগান এসবের কথা চলুক না কেন, আমিষ খাবারের কদর বেড়েই চলেছে। ঘরে ১০০% নিয়ারমিষ মানুষ জন সন্ধ্যেতে মাটন বিরিয়ানী মেরে দেয় টুক করে। আমিষ খায় বা খেতে চায় যারা তাদের তালিকার মাথায় তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবংগ, অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িষ্যা, কেরালা, একটাও আপনাদের দখলে নেই। মোটা ভাইদের দেশ গুজরাতে ১০০ তে ৬০ জন নিরামিষ আর ৪০ জন আমিষ, যোগী জীর উত্তর প্রদেশে ৫৩ % আমিষ আর ৪৭ % নিরামিষ। গোটা দেশের বেশির ভাগ মানুষ আমিষ খায় বা খেতে চায় বলেই নিরামিষ খাবার নিয়ে ঠাট্টা করা যায় না, আবার বিরিয়ানী মানেই মুসলমান দের খাবার, এরকমও বলে এই ভক্তকূল। এরকম মূর্খদের মত কথাও বলা তাঁদের মানায়। যোগী জীর লক্ষ্ণৌ তে গোস্ত বিরিয়ানী, অযোধ্যা তে কড়ক তন্দুরি রোটি, কালি দাল আর পনির পালক খেয়েছি, আমাদের খাবার নিয়ে তো জাত চেনাতে হয় না, খাবার দিয়ে জাত চেনা যায়ও না। যে মূর্খরা এরকম কথা বলেন তাদের জন্য একটা তথ্য ঔরঙ্গজেব ছিলেন নিরামিষভোজী, রৌকতে আলমগিরি, একটা বই যাতে ঔরঙ্গজেব তার ছেলে কে লেখা চিঠিগুলো রাখা আছে তাতে তিনি লিখছেন তাঁর প্রিয় খাবার নিয়ে, যোগী জী জানেন? কী ছিল সেটা? কুবুলি, এক ধরণের বিরিয়ানি যা ছোলা, শুকনো অ্যাপ্রিকট, পুদিনা পাতা আর আলমন্ড দিয়ে তৈরি হত, ঔরঙ্গজেব মদ্য পান করতেন না, কিন্তু তিনি ধর্মের নামে শাসন করতেন, জিজিয়া কর লাগু করেছিলেন, বা করতে চেয়েছিলেন বলা ভালো কারণ সব জায়গায় করে উঠতে পারেন নি। কাজেই আমিষ খান না, মাটন বিরিয়ানি খান না আর গোমুত্র খান বলেই কেউ সন্ন্যাসী বা জ্ঞানী হবার দাবী করতে পারেন না। আমার কাছে একটা বই আছে।নাম বিরিয়ানী, লেখিকা প্রতিভা করণ। অসাধারণ বই। সারা ভারতের বিরিয়ানির রেসিপি আছে তাতে। দেশ কে উত্তর দক্ষিণ পূর্ব আর পশ্চিম এ ভাগ করে সব কটা অঞ্চলের বিরিয়ানীর রেসিপি। তারমধ্যে ৫ টা বিরিয়ানী লক্ষ্ণৌ থেকে, গোস্ত বিরিয়ানি, আনারস বিরিয়ানি, রোজ বিরিয়ানি, মোতিয়েঁ কা বিরিয়ানী, দমপক্ত বিরিয়ানি। হ্যাঁ এগুলো যোগী জীর রাজ্য রাজধানীর বিরিয়ানী, হ্যাঁ লক্ষ্ণৌ তে দস্তরখান রেস্তঁরায় চলে যান, পাবেন। দিল্লি, যেখানে এসব বক্তৃতা চলছে, সেখানে ১২ টা আলাদা আলদা বিরিয়ানী তৈরি হয়। পুরানি দিল্লি কি অন্ডে ঔর সব্জিওঁ কি বিরিয়ানি, পুরানি দিল্লি কি গোস্ত বিরিয়ানি, কোফতা বিরিয়ানী, বাবু শাহী মটকা পীর বিরিয়ানী, মোতি পুলাও, এও এক ধরনের বিরিয়ানী। এই দিল্লিতেই পর্ক বিরিয়ানি পাওয়া যায়, যা মুসলমান রা খান না। এসব অবশ্য শাহ যোগী দের জানা নেই। বাংলার বিরিয়ানীর কথা বাদই দিলাম, এমন আলু আর ডিম, এক পিস মাংস দেওয়া বিরিয়ানী ভূভারতে নেই। এবং গুজরাট, মোটা ভাই দের দেশ, সেখানকার ও একটা বিরিয়ানীর রেসিপি আছে এই বই এ। কচ্ছ খোজা বিরিয়ানী, দারুণ মশালেদার বিরিয়ানী। আষাড় শেষ, শ্রাবণ এসেছে, পুকুর নদী খাল বিলে জল থৈ থৈ, বাঙালি কী খায়? মাছ, হ্যাঁ সেই পূন্য দিন গুলোতে আমাদের বাজারে হরেক কিসিমের মাছ আসে, বাঙালি মাছে ভাতে মানুষ, মাছ খায়, আপনারা নাক বন্ধ করে থাকুন, আপনাদের কাঁথির খোকাবাবু কে ডাঁটা চচ্চড়ি খেয়ে থাকতে বলুন, বাঙালিকে অপমান করবেন না। গুর্জরবাসী এক অর্বাচীন বাঙালির মাছ খাওয়া নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করেছেন। সে কথায় আসবো, তার আগে মাছ নিয়ে কিছু কথা। মাছ মানেই আমিষ? গুজু মেড়ো খোট্টা উড়ে ইত্যাদি অপশব্দ ব্যবহার না করেও বলা যায়, আমিষ নিরামিষ খাবারের বিভাজন যারা করেছেন, তাঁরা হিন্দু শাস্ত্র পুরাণ তেমনভাবে পড়েন নি, এবং কে না জানে মূর্খদের যে কোনও বিষয়ে কথা বলার এক সহজাত প্রবণতা থাকে। আমাদের অসংখ্য পুরাণের অন্যতম বৃহদ্ধর্মপুরাণে বলা আছে, ইলিশ খলিশ্চৈব ভেটকি মদগুর এব চ। রোহিতো মৎস্যরাজেন্দ্র পঞ্চমৎস্য নিরামিষাঃ। মানে ইলিশ, খলশে, ভেটকি, মাগুর এবং রুই মাছ নিরামিষ গোত্রেই পড়ে। অনেকে আবার এই শ্লোকের আরও গূঢ় অর্থ বার করে বলেন, এখানে ইলিশ গোত্রের মাছ, মানে মোহানার মাছ, ভেটকি মানে ভরা সমুদ্রের মাছ, মাগুর মানে জিওল মাছ, খলশে মানে ছোট চুনো মাছ আর রুই মানে কার্প গোত্রের, রুই, কাতলা, মৃগেল ইত্যাদির কথা বলা হয়েছে। তার মানে বিরাট মৎস সম্ভার আসলে নিরামিষ বলেই জানানো হয়েছে। কি কান্ড বলুন তো, এই পুরাণ অনুযায়ী এই বাংলার ৫০/৬০% মানুষ নিরামিষভোজী।

অবশ্য তাতে কিই বা এসে যায়, নিরামিষ যখন হয়ে ওঠে এক আগ্রাসী রাজনৈতিক হাতিয়ার, তখন এসব যুক্তিতে তো কাজ হয় না। আর সবচেয়ে বড় কথা আমি মাছ খাব না মাংস খাবো, তা নিয়ে তুমি বলা কে হে? ভাত দেবার মুরোদ নেই কিল মারার গোঁসাই? ঐ গুর্জর ভাঁড় মঙ্গলকাব্য পড়েছেন? পড়া তো দুরস্থান, এমন কিছু আছে বলেও কি জানেন, যা আমাদের ঘরে নিত্য পাঠ হয়, সামনে নারায়ণশিলা রেখে পুরুত ঠাকুর পড়েন, বাচ্চা, বুড়ো, মহিলারা শোনেন, সেই মঙ্গলকাব্য। তো মঙ্গলকাব্যের রচয়িতা অনেকে, তার মধ্যে দ্বিজ বংশীদাসের মনসামঙ্গলে কই মাছ রান্নার পদ্ধতিও দেওয়া আছে। “বড়ো বড়ো কই মৎস্য, ঘন ঘন আঞ্জি, জিরা লঙ্গ মাখিয়া তুলিল তৈলে ভাজি”। কেবল কই? পাবদা, রুই মাছের কথাও আছে, “পাবদা মৎস্য দিয়া রান্ধে নালিতার ঝোল। পুরান কুমড়া দিয়া রান্ধে রোহিতের ঝোল।“ নালিতা শাক বা পাট শাক দিয়ে পাবদা মাছ, বেসন সর্বস্য কড়ি নয়। ঈশ্বর গুপ্ত সেই কবেই লিখে গেছেন তার কারণ, “ভাত-মাছ খেয়ে বাঁচে বাঙালি সকল। ধানে ভরা ভূমি তাই মাছ ভরা জল।“ ভৌগলিক কারণেই আমাদের খাবারে চলে এসেছে মাছ ভাত।

ঈশ্বরি পাটনি যখন অন্নদার কাছে প্রার্থনা করছেন, আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে, তখন এই বাংলার মা বোনেরা প্রার্থনা করেন, আমার সন্তান যেন থাকে মাছে ভাতে। এটাই বাঙালি। বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেবী চৌধুরানি ঐ গুর্জর ভাঁড়ের পড়ে ওঠার কথা নয়, গুরু ভবানী পাঠক, মেনে নিচ্ছেন, আপাত বিধবা প্রফুল্লের মাছ খাওয়া, সেই অংশটা পড়ে শোনাই, “প্রথম বৎসর তাহার আহারের জন্য ভবানী ঠাকুর ব্যবস্থা করিয়াছিলেন—মোটা চাউল, সৈন্ধব, ঘি ও কাচকলা। আর কিছুই না। নিশির জন্য তাই। প্রফুল্লের তাহাতেও কোন কষ্ট হইল না। মার ঘরে সকল দিন এত যুটত না। তবে প্রফুল্ল এক বিষয়ে ভবানী ঠাকুরের অবাধ্য হইল। একাদশীর দিন সে জোর : করিয়া মাছ খাইত-গোবরার মা হাট হইতে মাছ না আনিলে, প্রফুল্ল খান, ডোবা, বিল, খালে আপনি ছাকা দিয়া মাছ ধরিত ; সুতরাং গোবরার মা হাট হইতে একাদশীতে মাছ আনিতে আর আপত্তি করিত না ।“ আর পাঁচ বছরের মাথায় ঐ ভবানী পাঠক প্রফুল্লর খাওয়াদাওয়াতে কোনও বাধা নিষেধ রাখলেন না। কে ছিলেন এই ভবানী পাঠক? এক নিষ্ঠাবান চিৎপাবন ব্রাহ্মণ। এটাই তো আমাদের দেশ, এটাই তো আমাদের সমাজ। যে দেশে কালিদাস রচনা করেন অভিজ্ঞানম শকুন্তলম। তার ক্লাইম্যাক্স এ এক জেলে মাছ ধরে কাটার পরে পেট থেকে পায় সেই অভিজ্ঞান, সেই চিহ্ন, যে আংটি রাজা দুষ্যন্ত দিয়েছিলেন শকুন্তলাকে। সেই আংটি পাবার পরেই রাজা দুষ্যন্তের মনে পড়ে যায় শকুন্তলাকে। হ্যাঁ, তখনও জেলে ছিল, মাছের বাজার ছিল, মাছ বিক্রি হত। আমাদের দুই পুরাণ কাহিনী রামায়ণ আর মহাভারত। রামায়ণে জনকের বাড়িতে রামসীতার বিয়ের অনুষ্ঠানে মাছ রান্নার কথা আছে। আর মহাভারতে অর্জুনের লক্ষভেদ, দ্রৌপদীর স্বয়ংবর সভায় মাছের চোখে তীর বিদ্ধ করতে হবে, এটাই তো ছিল শর্ত। মাছ আমাদের সাহিত্যে এসেছে, মাছ আমাদের ধর্মে এসেছে, মাছ এসেছে পুরাণে, মঙ্গলকাব্যে, তা এসেছে কারণ মাছ এক সুষম খাবার, সহজে প্রোটিন পাওয়া যায়, এমন খাবার। হতেই পারে তা কারোর নাপসন্দ, তাই বলে মাছ নিয়ে ভাঁড়ামো, মাছ খাওয়াকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা, আমরা, বিশেষ করে বাঙালিরা সহ্য করবো কেন?  এ বাংলায় নতুন বৌ যখন শশুরবাড়িতে ঢোকে, তখন তাকে বরণ করা হয়, তার বাঁ হাতে দেওয়া হয় একটা জান্ত ল্যাটা মাছ, নতুন বৌকে সেই ল্যাটা মাছ ছেড়ে দিতে হবে বাড়ির লাগোয়া পুকুরে, এ আমাদের বাঙালি বিয়ের রীতি, শহরে পুকুর নেই, তাই এক গামলা জলে সেই ল্যাটা মাছ খেলা করে। বাঙালি বিয়ের গায়ে হলুদে পাত্র বাড়ির থেকে আসে হলুদ মাখানো রুই মাছ, সেই মাছ রান্না হয়, মুড়ো থাকে কনের জন্য, গুর্জর ভাঁড় এ সামাজিকতা জানেন না। আমাদের বাড়ির সন্তানদের ঘুমপাড়ানোর ছড়া “আয় আয় চাঁদ মামা টি দিয়ে যা, ধা ভানলে কুঁড়ো দেবো, মাছ কাটলে মুড়ো দেবো, চাঁদমামা খোকার কপালে টিপ দিয়ে যা।“ কিম্বা খোকা যাবে মাছ ধরতে ক্ষীরনদীর কুলে, ছিপ নিয়ে গ্যালো কোলা ব্যাং এ মাছ নিয়ে গ্যালো চিলে। ডঃ বিধান চন্দ্র রায়, যাঁকে সাক্ষাৎ ধন্বন্তরি বলা হতো, তিনি বলতেন যদি কেউ ভাতের সঙ্গে একবাটি মাছের ঝোল খায়, তার অন্য কিছু খাবার দরকার হয় না। রবি ঠাকুরের চোখের বালি তে এই মাছের ঝোলের কথা আছে, বিহারী আর মহেন্দ্রর ভুল বোঝাবুঝি ভাঙার পরে রাজলক্ষী দুজন কে বসিয়ে মাছের ঝোল রান্না করে খাইয়েছিলেন, এটাই ছিল তাঁর শেষ সাধ, তারপর তিনি মারা যান। স্বামী-শিষ্য সংবাদ, ১৮৯৮ সন, শিষ্য শরৎচন্দ্র চক্রবর্তি স্বামিজীকে জিজ্ঞেষ করছেন, অনেকের চক্ষে ব্যাভিচারাদির পাপ অপেক্ষাও যেন মাছ মাংস খাওয়া বেশি পাপ, এই মতটা কোথা হইতে আসিল? স্বামীজী জবাবে বললেন, ‘কোত্থেকে এলো তা জেনে তোর দরকার কী? তবে ঐ মত ঢুকে যে তোদের সমাজের ও দেশের সর্বনাশ সাধন করছে তা তো দেখতে পাচ্ছিস? দেখনা, তোদের পূর্ববঙ্গের লোক খুব মাছ মাংস খায়, কচ্ছপ খায়, তাই তারা পশ্চিম্বঙ্গের লোকের চেয়ে সুস্থ শরীর, শুনেছি, পূর্ববঙ্গের পাড়াগেঁয়ে লোকে অম্বলের ব্যারাম কাকে বলে তা বুঝতেই পারে না‘ শিষ্য স্বামীজী কথায় সায় দিয়ে যখন বলেন যে, দেশে আমরা দু বেলাই মাছ ভাত খাইয়া থাকি। তখন বিবেকানন্দ বলেন, তা খুব খাবি, ঘাসপাতা খেয়ে পেটরোগা বাবাজীর দলে দেশ ছেয়ে ফেলেছে। শিষ্য জিজ্ঞেষ করেন, কিন্তু মহাশয়, মাছ মাংস তো রজোগুণ বাড়ায়, তখন স্বামীজী বলেন, আমি তো তাই চাই, দেশের যে সব লোককে এখন সত্ত্বগুণী বলে মনে করছিস, তাদের ভেতর ১৫ আনা লোকই হল ঘোর তমভাবাপন্ন। সেই এক তমভাবাপন্ন লোক হলেন আমাদের এন্টায়ার পলিটিক্যাল সায়েন্স পাশ করা নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদী, ওনার বাঙালি বিদ্বেষ আজকের নয় বহু পুরনো, আজ আমিষ নিরামিষের এই বখেড়াতে সেই বিদ্বেষ আরও ফুটে উঠল।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
ধর্মযুদ্ধে মুখোমুখি | কৃষ্ণনগর জেতা আসন, আমাদেরই থাকবে: মহুয়া মৈত্র
11:55
Video thumbnail
Mushidabad | মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে বোমা বিস্ফোরণ, রিপোর্ট তলব নির্বাচন কমিশনের
01:18
Video thumbnail
Amit Shah | নারীশক্তির অপমান বরদাস্ত করব না, চাপে পড়ে রেভান্না ইস্যুতে কড়া অবস্থান শাহর
05:10
Video thumbnail
Weather Update | জ্বলছে রাজ্য, দক্ষিণবঙ্গে আরও ৪দিন তাপপ্রবাহের সতর্কতা
05:08
Video thumbnail
Bikash Ranjan Bhattacharya | ‘চাকরি খেয়ে নিচ্ছেন’! হাইকোর্টে বিকাশকে ঘিরে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের
03:05
Video thumbnail
Yogi Adityanath | বহরমপুরে নির্বাচনী প্রচার থেকে কী বললেন যোগী আদিত্যনাথ, দেখুন ভিডিও
13:02
Video thumbnail
Bikash Bhattacharya | TET মামলা শুনানির পর বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ মামলাকারীদের
01:28
Video thumbnail
Ami Shah | মেমারি থেকে কী বললেন অমিত শাহ, দেখুন ভিডিও
18:29
Video thumbnail
Calcutta High Court | ২০১৪ সালের প্রাথমিক TET-এও ব্যাপক অনিয়মের ইঙ্গিত , হাইকোর্টে জানাল CBI
01:38
Video thumbnail
Covishield Side Effect | কোভিশিল্ডে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার সংস্থার
07:04