শিমলা: হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) কংগ্রেস সরকারের (Congress Government) পতন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা? মঙ্গলবার থেকে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বুধবার কংগ্রেসের সমস্যা আরও বেড়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। হিমাচল প্রদেশ থেকে বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের একটি আসনে জয় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু, তা হয়নি। কংগ্রেসের আইনজীবী সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ভির সেখানে পরাজয় হয়েছে। তখন থেকেই প্রমাদ গোনা শুরু হয়েছিল। এরই মধ্যে জানা যায়, কংগ্রেসের ছয় বিধায়কের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরে জানা যায় তাঁরা হরিয়ানার একটি রিসর্টে রয়েছেন।
মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য সিংহ। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আগে রাজ্যের মন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, সুখবিন্দর বিধায়কদের উপেক্ষা করেন। তাঁর বাবা হিমাচলপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহকেও অসম্মান করেছেন সুখু। মঙ্গলবার রাজ্যসভা নির্বাচনে হিমালচপ্রদেশ থেকে বিজেপির হর্ষ মহাজন জয়ী হয়েছেন। ৬৮ সদস্যের বিধানসভায় দুপক্ষই ৩৪টি করে ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে জয়, পরাজয় নির্ধারিত হয়েছে। ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে হিমাচলপ্রদেশে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। হিমাচল প্রদেশে সরকার ফেলতে আস্থা ভোটের দাবি জানিয়ে এদিন সকালে রাজ্যপাল শিবপ্রতাপ শুক্লর কাছে দরবার করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: নাগরিকের জমি নিয়ে ক্ষতিপূরণ, দয়া প্রদর্শন নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
এদিকে কর্নাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী ও হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস পর্যবেক্ষক ডিকে শিবকুমার এদিন বলেন, কংগ্রেস পার্টি থেকে আমাকে সেখানে থাকতে বলা হয়েছে। আমি জানি না বিজেপি এত তাড়াতাড়ি করছে কেন? যে কোনও সরকারের শক্তিশালী বিরোধী থাকা উচিত। কিন্তু এই ধরনের ঘোড়া কেনাবেচা ঠিক নয়। এটা একদিন ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে বিজেপির কাছে। আমি নিশ্চিত আমাদের দলের সব বিধায়ক দলের প্রতি আনুগত্য দেখাবে।
আরও খবর দেখুন