হুগলি: শুধু তিনবার বিয়ে করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। যদিও কে কতবার বিয়ে করবেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। তবে তৃতীয় বিয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নবদম্পতির নানা আদিখ্যেতা অনেকেই ভালোভাবে নেননি। নেট দুনিয়ায় ট্রোলেরও শিকার হতে হয়েছে শাসকদলের উত্তরপাড়ার তারকা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে (Kanchan Mullick)। এবার তারই মাশুল দিতে হল তাঁকে। বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Tmc Candidate Kalyan Banerjee) কাঞ্চনকে প্রচার গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলেন। তাঁর দাবি, কাঞ্চন প্রচারে থাকলে মহিলারা নানাভাবে রিঅ্যাক্ট করছেন। কাঞ্চনের উদ্দশে কল্যাণকে বলতে শোনা যায়, তোমাকে আসতে বারণ করেছিলাম। গ্রামের দিকের প্রচারে তুমি প্লিজ এসো না। বিদায়ী সাংসদের কথা শুনে বিধায়ক হুডখোলা গাড়ি থেকে মাথা নিচু করে নেমে যান। পরে দলের এক কর্মীর মোটর সাইকেলে চেপে কাঞ্চনকে এলাকা ছাড়তে দেখা যায়।
এদিন কোন্নগর নবগ্রাম এলাকায় প্রচারে বেরন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কোন্নগর স্টেশন রোডে তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে থেকে শুরু হয় প্রচার। সেখানেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুডখোলা গাড়িতে কাঞ্চনকে দেখা যায়। কিন্তু শুরুতেই তাল কেটে যায়। তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে প্রচার করতে চাননি কল্যাণ। তিনি কাঞ্চনকে বলেন, ভাই, তুমি থাকলে গ্রামের মহিলারা ভালোভাবে নিচ্ছে না। আমাকে তো সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। তুমি আমার সঙ্গে থেকো না। এ কথা শোনার পরই কাঞ্চন গাড়ি থেকে নেমে যান।
আরও পড়ুন: যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে, দাবি এসএসসি চেয়ারম্যানের
পরে কল্যাণ বলেন, উনি মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন কী হননি, আমি জানি না। আমি ওঁকে নিয়ে আগেও প্রচার করেছি। উনি আমার সঙ্গে যখন প্রচারে বেরোচ্ছেন গ্রামের মহিলারা কিন্তু ভীষণ রিঅ্যাক্ট করছে। আগেই বলে দিয়েছিলাম, গ্রামে এসো না। আর উনি আমার সঙ্গে প্রচারে কেন থাকছেন? কাঞ্চন নিজের মতো প্রচার করুন না। আমি ব্যক্তিবিশেষের জন্য নয়, আমি সমষ্টিগত মানুষের জন্য। কোনও ব্যক্তি বিশেষের আনন্দের জন্য সমষ্টিগত মানুষকে কষ্ট দিতে পারব না। কাঞ্চন বলেন, আমি বহু এলাকায় প্রচার করেছি। গ্রামেও গিয়েছি। কোনও মহিলা আমাকে কিছু বলেননি। ক্ষোভ প্রকাশও করেননি। আমি দলের হয়ে কাজ করেছি।
অন্য খবর দেখুন