বসিরহাট: রবিবার নতুন করে উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। বেরমজুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অজিত মাইতিকে (Ajit Maiti) তাড়া গ্রামবাসীদের (Villagers)। ভয়ে এক গ্রামবাসীর বাড়িতে আশ্রয় নিলেন তিনি। ভিতরে ঢুকেই তালা মেরে দেন। ওই বাড়ির লোক তখন বাইরে ছিলেন। তাঁরা ঘরে ঢুকতে পারছিলেন না। অজিত মাইতির আর্জি, দাদা দরজা খুলবেন না। সেখান থেকে সংবাদমাধ্যমকে গেটের ফাঁক দিয়ে অজিত মাইতি বললেন, আমি পদত্যাগ করব। আর দল করব না। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে সংবাদমাধ্যমকে সেখানে থাকতে বলে সাহায্য চাইলেন তিনি। বললেন, আপনারা চলে গেলে আবার ওরা চলে আসবে। আপনারা যাবেন না। অজিত মাইতির দাবি, তিনি কোনও দোষ করেননি। ২০১৯ সালে তাঁকে মারধর করে তৃণমূলে এনেছিলেন সিরাজউদ্দিন। গ্রামবাসীদের দাবি, অজিত মাইতিকে গ্রেফতার করতে হবে। বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের মধ্যে বেশিরভাগ মহিলারাই ছিলেন। এদিকে এদিনই সন্দেশখালি যান রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু। সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক খোল বাজিয়ে কীর্তনও করেন। পার্থ ভৌমিক জানান, কেউ অন্যায় করলে দল তাঁর পাশে থাকবে না। অজিত মাইতিকে অঞ্চল সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কাছারিপাড়া কাঠপোল এলাকায় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ। প্রত্যেকের হাতে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন। ১৪৪ ধারার মধ্যেই বেআইনি জমায়েত করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতে থাকার পর উত্তম সরদারকে বসিরহাট মহকুমা আদতে পেশ করা হল এদিন। সন্দেশখালি দু’নম্বর ব্লকে প্লেয়ারখালী হালদার পাড়ায় কর্মীসভা দুই মন্ত্রীর। বেরমজুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বটতলায় এখনো অজিত মাইতিকে একটি বাড়িতে ঘেরাও করে রেখেছে গ্রামবাসী। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেখানে উপস্থিত হন বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর অজিত মাইতিকে উদ্ধার করে পুলিশ। রাতে তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী হিসেবে আবার জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প
আরও খবর দেখুন