ক্রোয়াশিয়া–৪ কানাডা–১
(ক্রামারিক–২, লিভাজা-, মাজের) (আলফোনসো ডেভিস)
রবিবারের বিশ্ব কাপ দুটো বড় অঘটন দেখেছে। দুপুরে জার্মানি জয়ী জাপানকে হারিয়ে দিয়েছে স্পেনের কাছে সাত গোল খাওয়া কোস্তা রিকা। তার পর বিকেলে গত বারের তৃতীয় স্থান পাওয়া এবং ফিফা র্যাংকিংয়ে দুই নম্বর বেলজিয়ামকে আপসেট করেছে মরক্কো। তাই ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে কানাডার আলফানসো ডেভিস যখন মাত্র ৬৮ সেকেন্ডে গোল করে ফেললেন, তখন মনে হচ্ছিল তাহলে এদিন কি তিন নম্বর অঘটনের দিকে এগোচ্ছে এবারের বিশ্ব কাপ? না, শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। গত বারের রানার্স এবারের বিশ্ব কাপে দ্রুততম গোলটি খেয়েও শেষ পর্যন্ত চারটি গোল করে প্রি কোয়ার্টার ফাইনালের দিকে এগিয়ে গেল অনেকটাই। দুই ম্যাচ খেলে ক্রোয়েশিয়ার পয়েন্ট চার, মরক্কোর তিন আর বেলজিয়ামেরও তিন। পর পর দুই ম্যাচে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল কানাডা, যারা এই প্রথম এসেছিল বিশ্ব কাপ খেলতে।
বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে হেরে গেলেও কানাডা কিন্তু খারাপ খেলেনি। এদিন তাদের কাল হল ৬৮ সেকেন্ডে গোল করা। শুরুতেই আঘাত পেয়ে ক্রোয়েশিয়া যেন ফুঁসে উঠল। বিরতির আগেই তারা এগিয়ে গেল ২-১ গোলে। এবং শেষ ৪৫ মিনিটে করল আরও দুটি গোল। সব মিলিয়ে ক্রোটরা খেলল চ্যাম্পিয়নের মতো। তাদের স্ট্রাইকার ক্রামারিক তো জোড়া গেল করলেনই। কিন্তু এই বড় জয়ের পিছনে ছিল তাদের অধিনায়ক লুকা মদরিচের দুটো পা এবং মস্তিষ্ক। পিছিয়ে পড়া একটা টিমকে কীভাবে গাইড করে জেতার দিকে নিয়ে যেতে হয় তা দেখালেন রিয়াল মাদ্রিদের মদরিচ। ৩৬ মিনিটে আন্দ্রে ক্রামনিকের প্রথম গোল এবং ৪৪ মিনিটে মার্কো লিভাজার দ্বিতীয় গোলটা কিন্তু হল তাঁরই বাড়ানো পাস থেকে। বিরতির সময় ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা ক্রোয়েশিয়াকে ৩-১ গোলে এগিয়ে দিলেন সেই ক্রামানিক। এবার কিন্তু পাসটা এল ইভান পেরিসিচের পা থেকে। ৭০ মিনিটের এই গোলটির পর ম্যাচ কার্যত শেষ। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার গোল ক্ষুধা তখনও যায়নি। তাই ৯৪ মিনিটে ওরসিকের বাড়ানো বল থেকে লিওনার্দো মাজের যখন গোল করছেন তখন তাঁর সামনে ছিল ফাঁকা গোল। গ্রুপের শেষ ম্যাচে বেলজিয়ামের সামনে পড়বে ক্রোয়েশিয়া। আর সেদিনই মরক্কো মুখোমুখি হবে কানাডার। সব দিক থেকে দেখলে মনে হচ্ছে বেলজিয়ামের নক আউটে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।