কলকাতা: শুক্রবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে জামশেদপুর এফসির (Jamshedpur FC) মুখোমুখি মোহনবাগান (Mohun Bagan SG)। কোচ আন্তনিও লোপেজ হাবাস (Antonio Lopez Habas) জয় ছাড়া কিছু ভাবছেন না। আজ জিতলেও শীর্ষস্থানে যাওয়া হবে না, তিন থেকে দুই নম্বরে উঠবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। শীর্ষস্থান পাওয়া যেত, যদি বৃহস্পতিবার ওড়িশাকে হারাতে পারত ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল ৩০ সেকেন্ডে গোল করেও শেষ পর্যন্ত ২-১ হেরে ফিরছে।
শুভাশিসদের আজকের প্রতিপক্ষ জামশেদপুর সাত নম্বরে থাকলেও শেষ পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত তারা। এই পাঁচ ম্যাচের মধ্যে জিতেছে তিনটে এবং ড্র দুটো। মোহনবাগানের শেষ পাঁচ ম্যাচের রেকর্ডও একই। জামশেদপুরকে তারা কখনও পরপর দুই ম্যাচে হারাতে পারেনি। আইএসএলে হেড টু হেডে রেকর্ড ৩-৩। সমস্ত কিছুই এক হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডোপিংয়ের দায়ে নির্বাসিত হয়ে কী বললেন বিশ্বজয়ী ফুটবলার!
খাতায়-কলমে পালতৌলা নৌকা এগিয়ে থাকলেও যথেষ্ট সতর্ক হাবাস। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের প্রতিপক্ষকে সম্মান করি এবং ম্যাচের জন্য আমরা ভালো করে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই ম্যাচে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল আমরা যেন সেটপিসে গোল না হজম করি।” জামশেদপুরের কোচ খালিদ জামিলকেও (Khalid Jamil) বেশ আত্মবিশ্বাসী শোনাল। তিনি বললেন, “আমাদের কাছে ভালো ভালো খেলোয়াড় আছে যারা কঠোর পরিশ্রম করতে চায়, যা খুব ভালো বিষয়।”
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-১৩)
দিমিত্রি পেত্রাতসের সঙ্গে আজ আর্মান্দো সাদিকু (Armando Sadiku) না জেসন কামিংস (Jason Cummings) সেটাই দেখার। হাবাসের প্রথম পছন্দ সাদিকু হলেও তিনি আগের ম্যাচে একের পর এক গোল মিস করেছেন। বাগান সমর্থকরাই তাঁকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় মতপ্রকাশ করেছেন। পরের মরসুমে সাদিকুকে বিক্রি করে রয় কৃষ্ণকে ফিরিয়ে আনা হোক। আজ সুযোগ পেলে সমালোচনার জবাব দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য।
দেখুন অন্য খবর: