পার্থ: ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার তিন টেস্টের সিরিজ শুরু। এই সিরিজের শেষেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner)। সেই সঙ্গে জল্পনা শুরু হয়েছিল স্টিভ স্মিথকে (Steve Smith) নিয়েও। এ নিয়ে কিছুদিন আগে মতামত দেন তাঁর ব্যক্তিগত ম্যানেজারও। এবার স্বয়ং স্মিথ মুখ খুললেন।
কী বললেন ‘আধুনিক ডন’?
এক অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যমকে স্মিথ বলেন, “আমি বেশি দূরের কথা ভাবতে পছন্দ করি না। আমি এক একটা সিরিজ ধরে, এক একটা ম্যাচ ধরে ভাবি এবং সেই মূহূর্তগুলো উপভোগ করি। অবসরের ব্যাপারে আমরা ভেবে দেখবে এবং অবসরের পর আমার কেরিয়ার কেমন দেখাবে তা নিয়ে আমি ভাবিত নই। সত্যিই আমি এ নিয়ে ভাবি না। ওসব নিয়ে অন্যেরা কথা বলতেই পারে। আমি স্রেফ একটা দিন হিসেবে ভাবি এবং উপভোগ করি।” অর্থাৎ, এখনই অবসর নেওয়ার ইচ্ছে নেই স্মিথের।
আরও পড়ুন: মেয়েদের আইপিএল মাত্র এক রাজ্যেই, জানালেন জয় শাহ
আধুনিক যুগের টেস্ট ব্যাটারদের মধ্যে ‘গ্রেট’ হিসেবে ধরা হয় স্মিথকে। দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে বিরাট কোহলি (Virat Kohli), জো রুট এবং কেন উইলিয়ামসের থেকেও কিছুটা এগিয়ে রাখা হয়। ১০২টি টেস্ট ম্যাচে ৯,৩২০ রান করেছেন স্মিথ, গড় ৫৮.৬১। শতরান আছে ৩২টি এবং অর্ধশতরান ৩৯টি। ১৫৫টি একদিনের ম্যাচে ৪৩.৫৪ গড়ে ৫৩৫৬ রান করেছে। সেঞ্চুরি ১২টি এবং হাফ সেঞ্চুরি ৩২টি।
২০২৩ সাল খুব একটা ভালো কাটেনি স্মিথের। ১১ টেস্টে ৪৩.১১ গড়ে ৭৭৭ রান করেছেন। ২০টি ইনিংসে রয়েছে ৩টি সেঞ্চুরি এবং দুটি হাফ সেঞ্চুরি। এই পরিসংখ্যান মোটেই খারাপ নয়, কিন্তু ৫০, ৬০-এর ঘরে গড় থাকা ব্যাটারের জন্য মানানসই নয়। ওয়ান ডে-তেও স্মিথের এ বছরটা ভালো যায়নি। ৩১.৩৫ গড়ে করেছেন মাত্র ৪৩৯ রান। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জিতলেও ব্যাট হাতে স্মিথের তেমন অবদান ছিল না। বরং বিশ্বকাপে ওয়ার্নার তিনটি সেঞ্চুরি করেছিলেন।