Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeখেলাঅস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে দুর্দান্তভাবে অভিযান শুরু করল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স

অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে দুর্দান্তভাবে অভিযান শুরু করল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স

Follow Us :

ফ্রান্স–৪     অস্ট্রেলিয়া–১

(আদ্রিয়ন র‍্যাবিয়ট, অলিভার জিরু-২, কিলিয়ান এমবাপে)     (ক্রগ গুডউইন)

ছবির মতো ফুটবল খেলল ফ্রান্স। দেখে মন ভরে গেল। এই না হলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। এখন পর্যন্ত এই বিশ্ব কাপের সেরা ম্যাচ। ফ্রান্স যা সুযোগ তৈরি করেছে তাতে তারা আরও বেশি গোলে জিততে পারত। জোড়া গোল করলেন অলিভার জিরু। হ্যাটট্রিক করতে পারতেন। একটা গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপে। পি এস জি স্ট্রাইকারও হ্যাটট্রিক করতে পারতেন। গোল মিস করেছেন আঁতোয়া গ্রিজম্যান, ওসুমানু দেম্বলেও। এত গতির সঙ্গে খেলল ফ্রান্স যে কোথা দিয়ে যে নব্বই মিনিট কেটে গেল বোঝাই গেল না। মানছি অস্ট্রেলিয়া তেমন বড় দরের টিম নয়। এশিয়ান টিম বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারবে না, এতো জানা কথাই। আবার তার উপর তারা নয় মিনিটে গোল করে ফরাসিদের জাত্যভিমানে একটা বড় আঘাত করে ফেলেছিল। ফরাসিদের আঁতে ঘা লাগলে তারা যে কত মারাত্মক হতে পারে বাকি সময়টায় ফ্রান্স সেটা বুঝিয়ে দিল। তাদের খেলা দেখে কে বলবে টিমের সেরা তিন তারকা নেই। পল পোগবা, এনগোলো কান্তে কিংবা করিম বেঞ্জামারা  তো চোটের জন্য টুর্নামেন্টের বাইরে ছিটকে গিয়েচেন। কিন্তু প্রথম দিনের ফ্রান্সকে দেখে তাদের জন্য কান্নাকাটির কোনও অবকাশ নেই। ফ্রান্স আছে ফ্রান্সেই।

২০১৮-র রাশিয়া বিশ্ব কাপে যাঁরা ফ্রান্সকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তাঁদের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন প্রথম একাদশে। গোলকিপার এবং অধিনায়ক হূগো লরিস, রাইট ব্যাক বেঞ্জামিন পাভার্ড, এবং সামনের দিকের থ্রি মাস্কেটিয়ার্স গ্রিজম্যান, অলিভার জিরু এবং এমবাপে। বাকি ছয়জনই নতুন। দুই সেন্টার ব্যাক ইব্রাহিম কোনাতে এবং উপামেকানো, লেফট ব্যাক লুকাস হার্নান্ডেজ, মিডফিল্ডার ওসুমানু দেম্বলে, আদ্রিয়ন রাবিয়ট এবং তেচুয়ামেনি–সবাই তো নতুন। কিন্তু নতুনদের সঙ্গে পুরনোদের মিশ্রণ এতটাই ভাল হল যে তৈল নিসৃত মেশিনের মতো ফ্রান্স সারাক্ষণ খেলে গেল। পাসিং ফুটবল কাকে বলে তা মঙ্গল সন্ধ্যায় খেলে দেখাল ফ্রান্স। অসম্ভব গতির সঙ্গে দুর্দান্ত পাসিং। মোট ৭২৪টা পাস খেলেছে ফ্রান্স। আর প্রতিটা পাস নিখুঁত এবং ঠিকানা লেখা। তবে দিনের সেরা ছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। গত বিশ্ব কাপে তাঁর বয়স ছিল ১৯। এখন ২৩। কিন্তু কী পরিপক্কতা। বাঁ দিক দিয়ে অসম্ভব গতিতে দৌড়ে তিনি ধুলো উড়িয়ে দিয়েছিলেন অজি ডিফেন্সে। ফ্রান্স খেলল ৪-২-৩-১ ছকে। তিন অ্যাটাকিং মিডিও ছিলেন দেম্বলে, গ্রিজম্যান এবং এমবাপে। এক ফরোয়ার্ড অলিভার জিরু। গত বিশ্ব কাপে সাতটা ম্যাচে খেলে জিরু একটা গোলও করতে পারেননি। এবার প্রথম ম্যাচে জো্ড়া গোল। উল্লেখ করতে হবে গতবারও ফ্রান্স প্রথম ম্যাচ খেলেছিল আস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। জিতেছিল ২-১ গোলে। এবার তার চেয়ে অনেক ভাল ফল তাদের।

ঝড়ের গতিতে শুরু করেও নয় মিনিটের মধ্যে গোল খেতে হল ফ্রান্সকে। ডান দিক দিয়ে একটা আক্রমণ রুখতে গিয়ে পড়ে গেলেন লেফট ব্যাক লুকাস হার্নান্ডেজ। লেকি বলটা লম্বা করে পাস করলেন পিছন থেকে ছুটে আসা গুডউনকে। চলতি বলে বাঁ পায়ে চমৎকার শটে গোল করলেন গুডউইন। এই বিশ্ব কাপের দ্রুততম গোল। যেন কিছুই হয়নি এভাবে গোলটা হজম করল ফ্রান্স। কিন্তু তাদের খেলায় বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হল না। পাসের পর পাস খেলতে খেলতে তারা পৌছে যেতে লাগল গোলের সামনে। গোল শোধ হল ২৭ মিনিটে। বাঁ দিক থেকে এমবাপের ক্রসে হেড করে গোল করলেন আদ্রিয়ান রাবিয়ট। পাঁচ মিনিট পরেই বাঁ দিক দিক থেকে দুরন্ত গতিতে দৌড়ে রাবিয়ট একটা সোনার পাস বাড়ালেন জিরুর জন্য। সামনে শুধু ফাঁকা গোল। জিরু ভুল করেননি গোল করতে। এর পর মাত্র ছয় গজের মধ্যে বল পেয়েও বারের উপর দিয়ে উড়িয়ে দিলেন এমবাপে। কিন্তু ৬৮ মিনিটে দেম্বলের সেন্টারে হেড করে গোল করে তিনি পাপস্খালন করলেন। জিরুর দ্বিতীয় গোলটা এর তিন মিনিট পরে। বলটা সেন্টার করলেন এমবাপে। হেড করে গোল করলেন জিরু। ম্যাচের শেষ দিকে ফ্রান্সের ১৯৯৮ সালের বিশ্ব জয়ী টিমের রাইট ব্যাক লিলিয়াম থুরঁর ছেলে মার্কাসকে নামালেন দিদিয়র দেশঁ। ভুলে গেলে চলবে না ফ্রান্সের বর্তমান কোচ তো সেবারের ক্যাপ্টেন ছিলেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular