Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাPre Monsoon Rain and Storm | রাজ্যে বজ্রপাতে মৃত ১১, ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক...

Pre Monsoon Rain and Storm | রাজ্যে বজ্রপাতে মৃত ১১, ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

Follow Us :

মেদিনীপুর, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ ও বনগাঁ: বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রবল বজ্রবিদ্যুৎ (Lightning) সহযোগে ঝড়বৃষ্টিতে (Rain with Storm) মোট ১১ জনের বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore) জেলা জুড়ে আধ ঘন্টার এই ঝড়বৃষ্টিতে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তিন জনের। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আরও ৪ ৷ বজ্রপাত বৃষ্টি ছাড়াও মেদিনীপুর শহরে প্রবল শিলাবৃষ্টিও হয়েছে এদিন। ফলে পাকা ধানের ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ৷ কয়েক মাস ধরেই বৃষ্টিহীন ছিল পশ্চিম মেদিনীপুর। তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। এক সপ্তাহ আগে সর্বাধিক তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৭৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রবল তাপমাত্রার কারণে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন কয়েকজন। এর মাঝেই কালবৈশাখীর ঝড় সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেল। 

বিকেল সাড়ে চারটার পর জেলা জুড়ে প্রবল বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড় শুরু হয়। চন্দ্রকোনা এলাকায় যাদবনগর গ্রামে তাপস পাতর (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয় বজ্রপাতে। মাঠে কাজ সেরে ফিরছিলেন তিনি। তখনই বজ্রপাত হয়। অন্যদিকে, শালবনি এলাকার বাগমারিতেও বজ্রপাতে মৃত্যু হয় স্বপন ভূঁইয়া (৪৪) নামে এক ব্যক্তির। কাজে গিয়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছিলেন। মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন শিরোমণি এলাকাতে মাঠে ধান কাটার কাজ দেখতে হাজির হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা ৷ বজ্রপাত হচ্ছে দেখে তাড়াতাড়ি মাঠ থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলেন ৷ সেখানেই বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে বৈদ্যনাথ সরেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি মারা যান৷ আহত হন আরও দু-জন ৷ তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷

আরও পড়ুন: West Bengal | Governor | বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকদের নিয়ে ডেটাব্যাঙ্ক তৈরির উদ্যোগ রাজ্যপালের

অন্যদিকে চন্দ্রকোনা থানার নীলগঞ্জ গ্রামে বজ্রাহত হয়েছেন আরও এক মহিলা ৷ আহত মহিলার নাম সম্বরি হেমব্রম (৪২)। বাড়ি চন্দ্রকোনার নীলগঞ্জ গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন বিকেল নাগাদ বাড়ির সামনে থাকা ছাগলের দড়ি খুলে গোয়ালঘরে আনার সময় বজ্রপাত হয়। তাতে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান ওই মহিলা। তাঁকে উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন৷ কেশপুরের আঙ্গুয়া এলাকাতে মাঠ থেকে ফেরার সময় বজ্রাঘাতে আহত হয়েছেন মামনি ঘোষ নামে আরও এক মহিলা ৷ তিনিও ভর্তি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৷ এদিন ঝড় ছাড়াও মেদিনীপুর শহর ও বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড পরিমাণে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। ফলে মাঠের পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে কৃষি দফতর ও প্রশাসন।

হাওড়ার (Howrah) আমতা ও বাগনানে বাজ পড়ে মৃত তিন। আহত হয়েছেন আরও তিন জন। আহতরা আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে। মৃতেরা হলেন আমতা শেরপুরের বাসিন্দা মহানন্দ ঘুকু (৫৩), মিল্কিচক ধুনরি পাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ ইসমাইল (৩৭) এবং বাগনানের বাকসি দেউলগ্রাম ছিলাম পাড়ার বাসিন্দা জুলফিকার হোসেন (২২)। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে জমিতে ধান কাটছিলেন মহানন্দ ঘুকু। সেই সময় জমিতে বাজ পড়লে তিনি মারাত্মক জখম হন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি ইসমাইল বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির কাছেই জমিতে বসেছিলেন। সেই সময় জমিতে বাজ পড়লে ইসমাইল সহ তিনজন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ইসমাইলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, বাগনানের ছিলাম পাড়ার বাসিন্দা জুলফিকার হোসেন জমিতে ধান কাটার সময় আচমকা বাজ পড়লে তিনিও গুরুতর জখম হন। তাঁকে আশঙ্কাজানক অবস্থায় বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এলে মৃত ঘোষণা করা হয়।

বনগাঁয় (North 24 Parganas) বছরের প্রথম শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। অন্যদিকে মাঠে কাজ করার সময় বাজ পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা ব্লকের সুটিয়া,পাঁচপোতা, ঠাকুরনগর,ইছাপুর সহ একাধিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিকাল চারটা নাগাদ ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়। এই শিলাবৃষ্টিতে আম, ফুল,সহ একাধিক সবজির ক্ষতি হবে। গোবরডাঙা থানার বেড়গুম কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা ধীরাজ শর্মা ও মিলন বিশ্বাসের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা দুজন মাঠে ধান তোলার কাজ করছিলেন।

অন্যদিকে, বাড়ির উঠনে ধান ঝাড়াই করার সময় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল দুই ব্যক্তির। ওই একই ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও ২ জন। এদিন দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কাগ্রামে। দুর্ঘটনার পর আহতদের সালার ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দুই ব্যক্তির নাম হাবিব শেখ ও নেকবক্স শেখ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর হেলু শেখ ও আমিরুল শেখকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা। খবর পেয়ে সালার থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

এদিকে,পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) ভাতারের বেলেন্ডা গ্রামে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু। মাঠ থেকে ধান আনার সময় মাঠেই বজ্রপাতে মারা যান মনসুর আলি শেখ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাবা শেখ আজগর। তিনি জানান যে, আমরা তিন ফুট দূরত্বে ছিলাম। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চমকালো, আর বিকট আওয়াজ। আমার মাথা ঘুরে গেল। চোখ খুলতেই দেখি আমার ছেলে মাঠের জমিতে পড়ে রয়েছে। 

RELATED ARTICLES

Most Popular