অমৃতসর: শিখ ধর্মের অতি পবিত্র ও আনন্দোৎসবের দিন ‘বৈশাখী’ অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত পুলিশকর্মীর ছুটি বাতিল করল আপ সরকার। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বেড়ানো খলিস্তানপন্থী সংগঠন ওয়ারিশ পঞ্জাব দে-র নেতা অমৃতপাল সিং এখনও অধরাই। বৈশাখীর পুণ্যদিনে শিখ সংগঠনগুলিকে বৈঠকে বসার ডাক দিয়েছিল অমৃতপাল। সে কারণে ওই দিন পর্যন্ত সমস্ত কর্মীর ছুটি বাতিল করল পঞ্জাব পুলিশ।
বৈশাখী হল শিখ সম্প্রদায়ের নববর্ষ। ১৬৯৯ সালে দশম গুরু গোবিন্দ সিং খালসা পন্থের পত্তন করেন। তাই এই দিনটিকে অত্যন্ত উৎসবের সঙ্গে পালন করা হয় পঞ্জাবে। সকাল থেকে গুরুদ্বারগুলিতে ভজন-কীর্তন হয়। গুরুদ্বার নানা রঙের পতাকা, আলো, ফুলে সুসজ্জিত করা হয়। রাস্তায় রাস্তায় নানান রঙের পোশাকে নাচগান হয়। সব মিলিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন শিখরা।
অমৃতপাল এই দিনে অকাল তখতের শীর্ষ গুরুদের ভাটিন্ডায় ‘সরবত খালসা’ ডাকার আহ্বান জানিয়েছিল। তাই নিরাপত্তার কারণে সমস্ত পুলিশকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানান রাজ্য পুলিশের ডিজি গৌরব যাদব। একইসঙ্গে আগাম ছুটির তালিকার বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে কোনও ছুটি অনুমোদন করতেও বারণ করা হয়েছে।
এর আগে দুটি ভিডিয়ো বার্তায় অমৃতপাল অকাল তখতের জাঠেদার বা শীর্ষ গুরুদের বৈশাখীর দিন শোভাযাত্রা বের করার অনুরোধ জানিয়েছিল। তাতে সে বলেছিল, অমৃতসরের অকাল তখত থেকে ভাটিন্ডার দমদমা সাহিব পর্যন্ত শোভাযাত্রা বের করতে। শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি এর জবাবে জানিয়েছিল, এ ধরনের সম্মেলন করা হবে কিনা তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন একমাত্র অকাল তখত প্রধান। বিভিন্ন শিখ সংগঠন এবং শিখ গ্রন্থীদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তা হতে পারে, নচেৎ নয়।
প্রবন্ধক কমিটির সাধারণ সম্পাদক গুরুচরণ সিং গ্রেওয়াল জানিয়েছেন, এটা অমৃতপালের ব্যক্তিগত ইচ্ছা। সরবত খালসা ডাকা, না ডাকার চূড়ান্ত ক্ষমতা অকাল তখতে জাঠেদারের হাতে। প্রসঙ্গত, সরবত খালসা ডাকা হয়েছিল ২০১৫ এবং শেষবার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ সালে।