ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামে তাঁর কনভয়ের উপর হামলা চালিয়েছেন কুড়মি আন্দোলনকারীরা। রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার গাড়ির উইন্ড স্ক্রিন ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শুক্রবারের এই ঘটনার পর প্রায় ৩ কিলোমিটার হেঁটে লোধাশুলিতে পৌঁছলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়িতে ওঠার সময় জানান, হামলার বিষয়টি তিনি ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে জানিয়েছেন।
এদিন দহিঝুড়ি থেকে অভিষেকের গাড়ি শালবনির (Shalboni) দিকে চলে যাওয়ার পরই বাকি গাড়িগুলির উপর হামলা চালায় কুড়মি (Kurmi) সমর্থকরা। অভিযোগ, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার (Birbaha Hansda) গাড়িতে ঢিল ছোড়া হয়েছে। একের পর এক গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। তৃণমূল (TMC) সমর্থকদের বাইক ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাঁশ, রড নিয়ে হামলা চালানো হয়। আক্রান্ত হয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের গাড়িও। ইটের আঘাতে মন্ত্রী বীরবাহার গাড়ির চালকের চোখ গুরুতর জখম হয়। গাড়ি থেকে নেমে বীরবাহা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন, এটা জনজাতি আন্দোলন নয়। আন্দোলনের নামে নোংরামি করছে কুড়মিরা। আমরাও জনজাতির আন্দোলন করেছি। আজকে যে নির্লজ্জ হামলা হল, কুড়মি আন্দোলনের নেতাদের তার দায় নিতে হবে।
আরও পড়ুন: Kurmi Attack | ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয়ে হামলা কুড়মিদের
এর আগে বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায় অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা চলাকালীন কুড়মিদের বিক্ষোভ চলে। তাতে অভিষেকের কনভয়ও আটকে যায়। বাঁকুড়ায় অভিষেক গাড়ি থেকে নেমে কুড়মি আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের দাবি দাওয়ার ব্যাপারে কথা বলা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়াতে অভিষেকর যাত্রাপথে কুড়মিরা পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে চোর চোর স্লোগানও দেওয়া হয়। তবে তাতে অভিষেকের গাড়ি বাধাপ্রাপ্ত হয়নি। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ঘিরে রেখেছিল। অভিষেকের কনভয় নিরাপদেই পুরুলিয়া ছাড়ে।