জলপাইগুড়ি: সরকারি মেডিক্যাল কলেজের মেল ওয়ার্ডের শৌচাগার থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন। মৃতদেহ রীতিমতো পচন ধরে গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, চার থেকে পাঁচ দিন থেকে বাথরুমে ঝুলছে মৃতদেহটি। ঘটনারস্থলে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ও দমকল বাহিনী।
১০ তলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ৪ তলায় অবস্থিত মেল মেডিক্যাল ওয়ার্ড। সেই ওয়ার্ডের শৌচাগার থেকে প্রচণ্ড গন্ধ বের হতে থাকে। সাফাই কর্মীরা দেখতে পান বাথরুমের দরজা বন্ধ। এরপরেই দেখা যায় শৌচাগারের জানালায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক ব্যক্তি ঝুলে রয়েছে। খবর দেওয়া হয় দমকল ও পুলিশকে। দমকল বাহিনীর কর্মীরা শৌচাগারের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, হাসপাতালে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। সমস্ত গেটে নিরাপত্তারক্ষীরা মোতায়ন থাকেন। তারপরেও এই ব্যক্তি কীভাবে এখানে এলেন। আর কীভাবেই তাঁর মৃত্যু হল।
আরও পড়ুন: কল আছে জল নেই, প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে বিজেপির সুভাষ
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মৃত ব্যক্তি হাসপাতালের রোগী নয়। তাহলে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে বাথরুমে কী করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করল। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের না বলে কোনও ব্যক্তি হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করতে পারেন না। যদিও মৃত ব্যক্তির নাম ও পরিচয় এখনও জানাতে পারেনি পুলিশ।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: