কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: গরুপাচার-কাণ্ডে ফের বীরবভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে ডেকে পাঠাল সিবিআই। আগামী ৬ এপ্রিল তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গরু পাচারকাণ্ডে এর আগে অনুব্রত মণ্ডলকে চারবার ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু কোনওবারই তিনি হাজিরা দেননি। নানান কারণে সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। কলকাতা হাই কোর্ট থেকে রক্ষা কবচও পেয়েছিলেন। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পর পঞ্চমবার অনুব্রত মণ্ডলকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। রক্ষাকবচ খারিজের পরেই অনুব্রত মণ্ডলকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এখন দেখার ৬ এপ্রিল সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল হাজির হন কিনা।
গরুপাচার মামলায় মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলের রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করে। তার পরপরই অনুব্রতর মঙ্গলকামনায় মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন দলের বিধায়ক, নেতা-কর্মীরা। তাঁরা তারাপীঠের ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়, হাসনের বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদীপ ভট্টাচার্য-রা এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন। যদিও অনুব্রত নিজে ওই যজ্ঞে হাজির ছিলেন না। তিনি আসানসোলে লোকসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন –Rampurhat Violence: উদ্ধার হওয়া টোটো-বাইকেই এসেছিল বিস্ফোরক? বগটুইয়ে উত্তর খুঁজছে সিবিআই
মাসখানেক আগে কলকাতা হাই কোর্টই সিবিআইয়ের গ্রেফতারি থেকে অনুব্রতকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল। রক্ষাকবচ পাওয়ার দিনই তারাপীঠে মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন। কিন্তু পঞ্চমবার সিবিআই তলবের আগে হাই কোর্ট তাঁকে কোনও রক্ষাকবচ দেয়নি। একক বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, ‘‘বার বার আদালতকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। কোনও তদন্তে আদালত এ ভাবে সিবিআইয়ের হাত বাঁধতে পারে না।’’