কলকাতা: প্রোমোটিংয়ে বাধা দেওয়ায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রোমোটারের দলবলের বিরুদ্ধে। নারকেলডাঙার এই ঘটনাকে ঘিরে তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল এবং কাউন্সিলরের প্ররোচনায় এই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামী তাদের দলের সক্রিয় সমর্থক। স্ত্রীকে বাঁচাতে গেলে তাঁর স্বামীকেও মারধর করা হয়। মহিলা এখন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। পরেশের অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিজেপির মহিলা মোর্চার সমর্থকরা সোমবার সকাল থেকে নারকেলডাঙা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, দোষীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, স্থানীয় বিধায়ক এবং কাউন্সিলর দাঁড়িয়ে থেকে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাঁদেরও গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি বিজেপি মহিলা মোর্চার।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: কল্যাণী এইমসে নিয়োগ তদন্তে কেন্দ্রের অনুমতি বাধ্যতামূলক, সিআইডিকে হাইকোর্ট
স্থানীয় সূত্রের খবর, নারকেলডাঙার একটি বাড়ি প্রোমোটারকে দেওয়া নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। পরিবারের অভিযোগ, প্রোমোটার প্রতারণা করে চলে যান। রবিবার পরেশা পালের দলবল ওই বাড়ি দখল করতে আসে। বাধা দিতে গেলে পরিবারের লোকজনকে মারধর করা হয়। সন্তানসম্ভবা এক মহিলার পেটে লাথি মারা হয়। থানায় অভিযোগ করা হয়। প্রথমে পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য পুলিশ আটজনকে গ্রেফতার করে। কলকাতা পুলিশের ডিসি (ইএসডি) প্রিয়নাথ রায় জানান, আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন মেডিক্যাল কলেজে যান ওই মহিলাকে দেখতে।