কলকাতা: যে সংসদ ভবন থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বেরিয়েছিলেন, সেই সংসদ ভবনে ফের পা রাখতে চলছেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। এবারের লোকসভা ভোট ছিল মহুয়ার মর্যাদা রক্ষার লড়াই। সেই লড়াই জিতেও দেখালেন তিনি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় জয়ের মার্জিন একটু কম হয়েছে, ৫৬৭০৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন মহুয়া। জেতার পরের দিন আবারও মহুয়া মৈত্রের হুঙ্কার, ওদের চিতা আমি তুলবই।
ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন-কাণ্ডে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর বহিষ্কার করা হয় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। সেইদিন সংসদের দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, শেষ দেখে ছাড়ব। আমার বয়স ৪৯। আমি আগামী আরও ৩০ বছর সংসদের বাইরে ও ভিতরে, নালায়-নর্দমায়, মাঠে-ঘাটে লড়াই করব। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার লাইন উদ্ধৃত করে মহুয়া বলেছিলেন, আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই, স্বজন হারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। বহিষ্কারের পর কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকেই মহুয়াকে প্রার্থী করে তৃণমূল। কৃষ্ণনগরে এবার কৃষ্ণনগর রাজ পরিবারের সদস্য অমৃতা রায়কে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেই চমক কাজে লাগল না। কৃষ্ণনগরে ৬৫ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া।
আরও পড়ুন: তারাপীঠে পুজো দিয়ে তিহারে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করবেন, জানালেন শতাব্দী
মহুয়াকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করার পরও তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উপর আস্থা রেখেছিল দল। বরাবরই তিনি বলে এসেছিলেন, লড়াইটা তাঁর বিজেপির সঙ্গে। বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়কে প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। তার হয়ে প্রচারে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ সহ একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী। রাজ পরিবারের অবেগ বা মোদি-শাহের ডেলি প্যাসেঞ্জারি সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হল না বিজেপি প্রার্থীর।
দেখুন ভিডিও