ব্যারাকপুর: ব্যারাকপুরে স্বর্ণব্যবসায়ী শুটউটের ঘটনার ১৭ ঘন্টা পরেও অধরা দুষ্কৃতরা। সোনার দোকানের সামনে প্রকাশ্যে গুলি করে মারার ঘটনার জেরে টিটাগড় ব্যারাকপুর অঞ্চল জুড়ে আগামী শনিবার বন্ধের ডাক দিয়েছে বঙ্গীয় শিল্পী সমিতির স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। এছাড়া গতকালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ২৪ ঘন্টা বন্ধের ডাক দিয়েছেন স্বর্ণব্যবসায়ীরা। ভর সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে কী করে গুলি চালানো হল, সেই নিয়েই নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। নিরাপত্তার দাবিতে এবং দুষ্কৃতী তান্ডবের প্রতিবাদে এলাকায় মিছিল করেন। সেই মিছিলে শামিল হয়েছিলেন অনেক সাধারণ মানুষও। ঘটনার CCTV ফুটেজে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানেই উঠে এসেছে ৪ দুস্কৃতির ডাকাতির ছবি। সেটার সাহায্যেই একেবারে কমর বেঁধে তদন্তে নেমে পড়েছেন টিটাগড় থানার পুলিশ।
এদিকে আবার নীলাদ্রির বাবা অর্জুন সিংহের কাছে অভিযোগ করে বলেন, বাড়িওয়ালার সঙ্গে দোকান নিয়ে প্রায় রোজ ঝামেলা হচ্ছিল। মামলা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। বাড়িওয়ালা বাচ্চু ঘোষকে গ্রেফতার করা হোক। এরপর তিনি বলেন জানি না কী হল, আমার ছেলেকেই মেরে দিয়ে চলে গেল। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে অর্জুন বলেন, পরিকল্পনা করেই মারতে এসেছিল।
গতকাল ভরসন্ধায় ব্যারাকপুরের গুলিবিদ্ধ হন এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। ডাকাতিতে বাধা পেয়ে গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ যায় সোনার দোকানের ব্যবসায়ীদের। স্থানীয় সূত্রের খবর মালিক সহ আরও দু’জন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: Basirhat BJP | ব্ল্যাকমেল করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার বিজেপি নেত্রীর মেয়ে
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুরের অভিজাত আনন্দপুরী সেন্ট্রাল রোড(Anandapuri Central Road) এলাকায় একটি সোনার দোকানে বুধবার সন্ধ্যায় অতর্কিতে হামলা চালায় এক দল ডাকাত। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন থেকে চার জন দুষ্কৃতী ওই ডাকাত দলে ছিলেন। তাঁরা দোকান থেকে সোনার গয়না লুঠ করার চেষ্টা করে। বাধা পেয়ে গুলি ছোঁড়ে। গুলি লেগেছে তিন জনের দেহে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দোকানের মালিকের পুত্র নীলাদ্রি সিংহের। এক নিরাপত্তারক্ষীর পায়েও গুলি লাগে। আক্রমণের পর দুষ্কৃতীরা মোটরসাইকেলে চেপে পালিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। ঘটনার পর ব্যারাকপুর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুষ্কৃতীদের খোঁজে বিভিন্ন রাস্তায় শুরু হয়েছে পুলিশের নাকা চেকিং (Naka Checking)।
এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্য জুড়ে বোমা বন্দুকের খেলা চলছে। বোমা ফাটিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। মানুষ মারা হচ্ছে। তৃণমূল নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। অন্যকে মারছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি। তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গকে আফগানিস্তান বানিয়ে দিতে চাইছে ইচ্ছাকৃতভাবে। যাতে সবাই ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে আর ওরা রাজত্ব করতে পারে।