কলকাতা: এবার কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এল। সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি আদালতে বলেন, ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট হয়। পরের বছর ৬ জুন ফল প্রকাশ হয়। জুলাই মাসে নিয়োগ হয়। সেই নিয়োগেই দুর্নীতি হয়েছে।
আইনজীবী জানান, ইউজিসির গাইড লাইন অনুযায়ী বয়সসীমা ৩৭ বছর হওয়া উচিত। কিন্তু সেই বয়স পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও একজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, কম নম্বর পাওয়া একাধিক প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে। ইন্টারভিউতে নম্বরের কারচুপি করা হয়েছে।
কলেজ সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, এটা জনস্বার্থ মামলা হতে পারে না। একান্তভাবেই এটা সার্ভিস ম্যাটার। একই কথা বলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল গোপাল মুখোপাধ্যায়।
অপর এক মামলাকারীর আইনজীবী সুবীর সান্যাল জানান, বাগচী পদবিধারী এক প্রার্থীকে সংরক্ষিত তালিকায় নিয়োগ করা হয়েছে। আদালত মামলার গ্রহণযোগ্যতার উপর সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে। ৩০ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন:Awas Yojana: আবাস যোজনার তালিকায় দুর্নীতি, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে বিক্ষোভে শামিল বিজেপি
বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, শিক্ষার কোনও স্তরই আর দুর্নীতি থেকে বাদ নেই। প্রাথমিক থেকে শুরু করে একেবারে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব স্তরেই সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে তৃণমূল জমানায়। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, বেআইনিভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালের উপাচার্য সোনালি বন্দ্যোপাধ্যায় চক্রবর্তীকে পুনর্নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেয়। তাতেও লজ্জা হয়নি। রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যায়। সেখানে সোনালির পুনর্নিয়োগের উপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখা হয়।