চন্দ্রকোনা: সোমবার দুপুরে চন্দ্রকোনা (Chandrakona) দু’নম্বর ব্লকের বান্দিপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কক্ষে ঢুকে প্রধানকে বেধড়ক মারধরের (Panchayat Pradhan Beaten) পর থেকে থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় এলাকায় চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ। আতঙ্কে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে আসছে না বহু অঞ্চল কর্মী। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ কর্মী সংখ্যা অনেকটাই কম। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও অঞ্চল কর্মীরা যে আতঙ্কিত তা স্পষ্ট।
এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান তরুণ সামন্ত জানিয়েছেন, “দুটো গোষ্ঠীর মধ্যে যেভাবে লড়াই চলছে আমাদের মেম্বার এবং প্রধানরা নিরাপত্তা পাচ্ছিনা। সেই ভয়ে আমাদের কর্মীরাও নিরাপত্তা না পাওয়ার জন্য আসছে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত সমাধান হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা অঞ্চলে যাব না এটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি।”
আরও পড়ুন: দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী
উল্লেখ্য, তৃণমূল (TMC) পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধানকে নৃশংসভাবে মারধর করার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বান্দিপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Bandipur Gram Panchayat) প্রধান পিঙ্কি দোলুই। তাঁর অভিযোগ, সোমবার দুপুরে তিনি যখন তাঁর দফতরে বসে কাজকর্ম করছিলেন সেই সময় আচমকাই ১২-১৩ জন মহিলা অফিসে ঢুকে চুলের মুঠি ধরে তাঁকে মারধর করতে থাকে। টেবিলে ফেলে রীতিমতো টানাহেঁচড়া করা তাঁকে।
এমনকি পরে রুম থেকে বের করে বাইরে নিয়ে গিয়ে মাটিতে ফেলে তাঁকে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। পিঙ্কি দেবীর অভিযোগ, সম্পূর্ণ ঘটনাটি ঘটেছে চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি হীরালাল ঘোষের মদতেই। যদিও হীরালাল ঘোষ তাঁর বিরুদ্ধে উঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আরও খবর দেখুন