বানারহাট: শয্যাশায়ী মাকে গলার নলি কেটে খুনের অভিযোগ উঠলো বড় ছেলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত বড় ছেলে বিজয় পান্না গ্রেফতার হয়েছে। আর মৃতের নাম ঘটনা ঘটেছে বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটা এলাকায়। সাধনি পান্না (৭০)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বানারহাট থানার আইসি শান্তনু সরকার, বিন্নাগুড়ি ফাঁড়ির ওসি কুশাং টি লেপচা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকালে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) গয়েরকাটা চা বাগানের বিঘা লাইনে শ্রমিক আবাস থেকে উদ্ধার করা হয় ওই বৃদ্ধার গলাকাটা। মৃতার ছোট ছেলে সুনীল পান্না। তিনি জানান, তাঁর মা দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী। সোমবার তাঁরা সপরিবারে বিয়েবাড়ি গিয়েছিলেন। এরপর বাড়ি ফায়ার এসে দেখেন তাঁর মায়ের গলা কাটা দেহ। দেহের পাশেই পড়েছিল একটি ছুরি। গোটা দৃশ্য দেখে ভয়ে আঁতকে ওঠেন তিনি। চিৎকার শুনেই তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পাড়া-প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুন: Bankura | তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগে বাজার বন্ধ করে প্রতিবাদ ব্যবসায়ীদের
সুনীল পান্না জানিয়েছে, বাড়ি ফায়ার এসে মায়ের এই দৃশ্য দেখতে পেলেও কোথাও তাঁর বড় দাদাকে দেখতে পাননি তিনি। তখনই এক প্রতিবেশীর কাছে জানতে পারেন দাদা মাকে খুন করার কথা। ওই প্রতিবেশীর কথা অনুযায়ী, এক মহিলার কাছে তাঁর বড় দাদা বিজয় পান্না মাকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে। এরপরই তিনি সোজা দ্বারস্থ হন পুলিশের। দাদার নামে মাকে খুন করার অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত বিজয় ভিনরাজ্যে কাজ করতেন। তবে তাঁদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিশেষ ভাল ছিল না।দীর্ঘদিন ধরে কাজ না থাকায় বাড়িতেই বসেছিলেন তিনি। এদিকে দীর্ঘদিন থেকে শয্যাশায়ী ছিল মা। আর মায়ের চিকিৎসার খরচ বইতে গিয়ে বড় ধাক্কা খাচ্ছিলেন বিজয়। যা নিয়ে সংসারেও টানাপোড়েন চলছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মায়েরচিকিসার খরচ না টানতে পেরেই এই রাস্তা অবলম্বন করেছেন বিজয়।