দোমহনী: গ্রুপ ডির চাকরি চলে যাওয়ায় অবসাদে ভুগছিলেন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) দোমহনী এলাকার বাসিন্দা দিলীপ বিশ্বাস। রবিবার রাতে শিলিগুড়ির ভাড়া বাড়ি থেকে দিলীপের দেহ উদ্ধার হয়।
মৃতের দাদা দীনবন্ধু বিশ্বাস জানিয়েছেন, শিলিগুড়ির (Siliguri) গেটবাজার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে একাই থাকতেন দিলীপ। তিনি ২০১৯ সালে গ্রুপ ডি (Group-D) পদে চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁর পোস্টিং ছিল কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি দেওয়ানগঞ্জ আপার প্রাইমারি স্কুলে। সম্প্রতি গ্রুপ ডি চাকরি বাতিলের যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তাতে দিলীপের নাম রয়েছে। দীনবন্ধু জানান, চাকরি যাওয়ার কারণে ভাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। ইদানিং খুব মনমরা হয়ে থাকত। টেনশনেও ভুগছিল। হয়ত সেই কারণেই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
শিলিগুড়ি পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে। এরপর মৃত ব্যক্তির পরিচয় সন্ধান করে তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দিলীপের দেহ শনাক্ত করেন। মৃতের দাদা জানান, রবিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ শিলিগুড়ি থেকে তাঁদের এক পরিচিত ব্যক্তি ফোন করে জানান, দিলীপের অবস্থা ভালো না। জানলা দিয়ে দেখা যাচ্ছে, দিলীপ মেঝেতে পড়ে আছে। এরপর স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মৃত অবস্থায় দিলীপকে উদ্ধার করে। রাতে জলপাইগুড়ি থেকে পরিবারের সদস্যরা শিলিগুড়ি যান।
আরও পড়ুন : Rahul Dravid: আইপিএলের ‘ক্ষতিকর’ প্রভাব পড়বে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে, বললেন দ্রাবিড়
উল্লেখ্য, ওএমআর শিট (OMR Sheet) জালিয়াতি করে শিক্ষাকর্মী পদে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের প্রত্যেকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। তাঁরা যা বেতন পেয়েছেন তাও ফেরত দিতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও নির্দেশ দেন, যে প্রাথীরা অপেক্ষা তালিকায় রয়েছেন তাঁদের মধ্যে থেকেই ১৯১১ জনকে নিয়োগ করতে হবে।
এদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পথে হেঁটে এবার নবম-দশমের ৬১৮ জনের নিয়োগপত্র প্রত্তাহার করল মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ মতো, গত বুধবার নিজেদের আইনবলে কমিশন ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র প্রত্তাহার করে নেয়। শুক্রবার মধ্য শিক্ষা পর্ষদও একইভাবে ওই ৬১৮ জনের নিয়োগপত্র প্রত্তাহার করে নেয়। সে কথা আদালতকে জানিয়েও দিয়েছে পর্ষদ।