জলপাইগুড়ি: নোংরা আবর্জানায় ভরে গিয়েছে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি জাতীয় সড়কের পাশে রাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ফাটাপুকুর। গত কয়েক বছর ধরে প্রশাসনিক অবহেলা এবং স্থানীয়দের সচেতনতার অভাবে ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে জলাশয়। হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী দীঘির গুরুত্ব। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত একটি প্রকাণ্ড দীঘির নামে এলাকার নাম ফাটাপুকুর। ফাটাপুকুরের পাশ দিয়ে গেলে নোংরা আবর্জনার গন্ধে নাক ঢাকতে হয়। জলাশয়ের একটি বিরাট অংশ কচুরিপানায় ঢেকেছে। হারিয়ে গিয়েছে আগের সৌন্দর্য।
স্থানীয়রা জানান, এই ঐতিহ্যবাহী পুকুরের নামেই এলাকার নাম হয়েছে ফাটাপুকুর। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত পুকুরটির সৌন্দর্য দর্শকদের আকর্ষণ করত। শীতের সময় বহু পরিযায়ী পাখিরা আসতো। তবে গত কয়েক বছর ধরে পুকুরের দেখভাল হচ্ছে না। চারপাশ নোংরা আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। কচুরিপানায় সংকুচিত হয়েছে জলাশয়। পুকুররের আশেপাশে প্রচুর দোকান খাবারের হোটেল গড়ে উঠেছে। এলাকায় কোনও ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় দোকান এবং হোটেলের যাবতীয় নোংরা সব পুকুরেই ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পুকুরটি সংস্কারের প্রয়োজন। একাধিকবার প্রশাসনের তরফে পুকুরটি সংস্কার করা হবে বলে জানা গেলেও কোনও উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি বেল অভিযোগ স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: রেমালের দুর্যোগ কাটিয়ে স্বাভাবিকের পথে সুন্দরবন
পুকুরের এই হালের কথা শিকার করে পানিকৌরি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পাপিয়া সরকার বলেন, এত বড় পুকুর আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতে তরফ থেকে সংস্কার করা সম্ভব নয়। শুনেছিলাম এই এসজেডি-র তরফ থেকে পুকুরটি সংস্কার করা হবে। তবে আমি আবার আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো, যাতে পুকুরটি খুব তাড়াতাড়ি সংস্কার করা যায়।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: