পুরুলিয়া: পুরনো মামলায় দুই কুড়মি নেতাকে (Kurmi Leader )গ্রেফতার (Arrest)। আন্দোলন ভাঙতে মিথ্যে মামলায় কুড়মি নেতাদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কুড়মি সমাজের।
তৃণমূলের (TMC) নবজোয়ার যাত্রা চলাকালীন গত ২৩ মে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে দফায় দফায় দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে হামলা হয়। অভিষেকের গাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার পর মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতে ইট পড়ে। মন্ত্রীর গাড়ির চালক জখম হন। কনভয়ের আরও কিছু গাড়ি ভাংচুর করা হয়। সেই ঘটনায় গত ২৬ মে পুলিশ বাঁকুড়ার সিমলাপাল ও খাতড়া থানায় দুটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় সিমলাপালের কুড়মি নেতা তাপস মাহাত ও খাতড়ার কুড়মি নেতা কৃষ্ণপদ মাহাতর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেআইনি সমাবেশ, মিছিল, পুলিশের কাজে বাধা ও বলপ্রয়োগ, সরকারি সম্পত্তি ভাংচুর সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। সেই মামলাতেই বুধবার বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার পুলিশ কুড়মি নেতা তাপস মাহাত ও খাতড়া থানার পুলিশ কৃষ্ণপদ মাহাতকে গ্রেফতার করে। তাঁদের খাতড়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে আদালত দুজনকেই ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনাতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় কুড়মি সমাজের মধ্যে।
আরও পড়ুন: হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার যুবকের মৃতদেহ, চাঞ্চল্য
কুড়মি (Kurmi) সমাজের নেতৃত্বের দাবি, ২০ সেপ্টেম্বর নিজেদের দাবির সমর্থনে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) খেমাশুলি ও পুরুলিয়ার (Purulia) কুস্তাউরে রেল ও সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে সেই আন্দোলন কুড়মিরা প্রত্যাহার করে নিলেও পুলিশ মিথ্যা মামলায় জঙ্গলমহলের চার জেলায় একের পর এক কুড়মি নেতাকে গ্রেফতার করছে। এর প্রতিবাদেই আগামিদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কুড়মি নেতৃত্ব।
পাশাপাশি কুড়মি (Kurmi) নেতৃত্বের দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হলেও ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) ও ওড়িশায় (Odisha) কুড়মিদের আন্দোলন এখনও অব্যাহত রয়েছে। সেই আন্দোলনে এ রাজ্যের কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষকে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছে।