বিরোধীদের ঢুকতে দেওয়া হল না হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় মৃত কিশোরীর গ্রামে। রবিবারের সকালে সেখানে কংগ্রেসের ১২ জনের একটি প্রতিনিধি দল গেলে গ্রামবাসীরা তাড়া করেন। স্থানীয়দের হাতে লাঠিও দেখা যায়। কোনওরকমে পুলিসের সহযোগিতায় সেখান থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা। গ্রামবাসীর বক্তব্য, তাঁরা রাজনীতি চান না। পরে বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মৃত কিশোরীর বাড়ি যেতে গেলে পুলিস তাঁদের বাধা দেয়। পুলিসের পক্ষ থেক বিজেপিকে বলা হয় সেখানে গেলে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল নাবালিকার দেহ উদ্ধারের ওই ঘটনায় পুলিসের তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এদিন সেখানে সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, অপহরণ করে খুনের বদলে পকসো আইনে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করুক পুলিস। দশমী থেকে নিখোঁজ থাকা অবস্থায় কেন পুলিসের তৎপরতা দেখা যায়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ওই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা আছে। বিজেপি নেত্রী বলেন, মৃতের পরিবারের কাছে যেতে চাই। তাঁদের আইনি সহায়তা করতে চাই।
আরও পড়ুন UP Incident: যোগীরাজ্যে জীবন্ত দগ্ধ গর্ভবতী ধর্ষিতা নাবালিকা
এক্ষেত্রে পরিবারের লোক এবং গ্রামবাসীদের অবশ্য বক্তব্য, তাঁদের প্রশাসনের উপর ভরসা আছে। কোনও রাজনৈতিক দলকে (Political Party) এই বিষয়ে দরকার নাই। এর মধ্যে রাজনীতি চাইছেন না। প্রশাসন (Administration) উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে দোষীর চরম শাস্তি দিক এমনটাই চাইছেন তাঁরা।
দশমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে নিখোঁজ ওই নাবালিকার দেহ শনিবার হুগলির জাঙ্গিপাাড়ার ঝিলে উদ্ধার হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এদিন ড্রোন উড়িয়ে ঝিলের সর্বত্র ছবি তুলে খতিয়ে দেখা হয়। পাশাপাশি, ঝিলে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। দেহ উদ্ধারের ওই ঘটনার তদন্তে প্রথমে পুলিশের বিরুদ্ধে ঢিলেমির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু, পরবর্তীতে পুলিসের তৎপরতায় ভরসা পেয়েছে বলে এদিন জানিয়েছে মৃতের পরিবার।