Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাBiplab Chattopadhyay: নন্দীগ্রাম নিয়ে বুদ্ধবাবুকে ভুল বোঝানো হয়েছিল, মত অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের

Biplab Chattopadhyay: নন্দীগ্রাম নিয়ে বুদ্ধবাবুকে ভুল বোঝানো হয়েছিল, মত অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের

Follow Us :

কলকাতাঃ ২০০৭ সালের মার্চ মাসে নন্দীগ্রামের (Nandigram) পরিস্থিতি যে এতটা অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তা জানতেন না বলে দাবি করলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা (Veteran Actor) বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় (Biplab Chattopadhyay)। তাঁর মতে, গোটা বিষয়টা নিয়ে তাঁকে ভুল বোঝানো হয়েছিল, মিস লিড (mislead) করা হয়েছিল। বিপ্লব আরও মনে করেন, এর জন্য লক্ষ্মণ শেঠ খানিকটা দায়ী ছিলেন। তাঁর কথায়, বুদ্ধবাবু যদি সবটা জানতেন, তা হলে গুলি চালানোর ব্যাপারটায় যেতেনই না। পরে উনি স্বীকারও করেছেন, গুলি চালানোটা বিরাট ভুল হয়ে গিয়েছিল। 

প্রবীণ এই অভিনেতা বরাবর বামপন্থী হিসেবেই পরিচিত। আগামিকাল, বুধবার বইমেলায় প্রকাশিত হতে চলেছে বিপ্লবের আত্মজীবনী ‘আমি বিপ্লব’। পরিকল্পনায় সাংবাদিক সুমন গুপ্ত। দীপ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হবে বইটি।

প্রকাশিতব্য বইটিতে সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রাম নিয়ে বিপ্লব খোলাখুলি তাঁর মত প্রকাশ করেছেন। সিঙ্গুর আন্দোলনের জন্য বিপ্লব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরদর্শীতাকেও অস্বীকার করেননি। সেই প্রসঙ্গে বিপ্লবের মত হল, মমতা ভেবেছিলেন, যদি কোনওরকমে সিঙ্গুরে (Singur) টাটার মোটরগাড়ির কারখানা বন্ধ করে দেওয়া যায়, তাহলে বামফ্রন্ট সরকারকে এই রাজ্য থেকে হটানো যাবে। বামফ্রন্ট একেবারে শেষ হয়ে যাবে। তৃণমূল দলের শাসন ক্ষমতায় আসার রাস্তাটাও পরিষ্কার হবে। 

আরও পড়ুন:Virginity Test: সত্য উদঘাটনের নামে অভিযুক্তের কুমারীত্ব পরীক্ষা অমানবিক, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট 

বিপ্লবের সংযোজন, বামফ্রন্টে অনেক বিচক্ষণ নেতা আছেন ঠিকই। কিন্তু মাননীয়ার এই পদক্ষেপ তাঁরা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি কেন, আমি জানি না। এটা যে তখনকার সরকারের একটা ব্যর্থতা, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। বিপ্লবের বিনম্র নিবেদন, আমি রাজনীতিবিদ নই। সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে যেটুকু আমার বোধগম্য হয়, সেটাই বলছি। অথচ কে না জানে, বিপ্লব বামপন্থায় বিশ্বাসী। ১৯৯৮ এবং ২০০৬ সালে দুবার তিনি যথাক্রমে রাসবিহারী এবং আলিপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সিপিএমের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। 

সিঙ্গুর নিয়ে বিপ্লব তাঁর আত্মজীবনীতে লিখছেন, সেখানকার লোকজনকে এমনভাবে বোঝানো হল, এখানে টাটা এলে ঘরবাড়ি সবার উচ্ছেদ হয়ে যাবে। লোকজন বুঝলও তাই। কাগজে বেরিয়েছিল, সিঙ্গুরের লোকজনকে এ কথাও বলা হল, এখানে টাটারা বিউটি পার্লার খুলবে, মদের দোকান খুলবে। জামশেদপুরে তাই হয়েছে? জামশেদপুর আগে জঙ্গল ছিল। এখন সেই জায়গার চেহারাটা কী? বিপ্লবের মনে হয়েছে, আমাদের পার্টি এগুলো জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে পারেনি। সিঙ্গুরে মদের দোকান হবে না, বিউটি পার্লার হবে না, এই কথাগুলো কেন পার্টি সঠিকভাবে বোঝাতে পারেনি?

বিপ্লব আরও লিখছেন, কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বুদ্ধবাবু কিছু করতে পারলেন না। কোর্ট তো অর্ডার দিয়েছিল, হাইওয়ে বন্ধ করা যাবে না। কিন্তু তাও বুদ্ধবাবু ভয় পেয়ে গেলেন। উনি নন্দীগ্রামের ব্যাপারে আগেই একটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তাই বোধহয় সিঙ্গুরের ব্যাপারে কোনওরকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারেননি। দেশ চালাতে গেলে কখনও কখনও বুদ্ধি করে কঠোর পদক্ষেপ করতে হয়।

RELATED ARTICLES

Most Popular