Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeচতুর্থ স্তম্ভFourth Pillar | ২০২৪ নয় মোদিজির লক্ষ্য ২০২৫, সেটার কারণটা বুঝুন
Fourth Pillar

Fourth Pillar | ২০২৪ নয় মোদিজির লক্ষ্য ২০২৫, সেটার কারণটা বুঝুন

যারা মুসলিম লিগের হাত ধরে দেশটাকে দু' টুকরো করার আবেদন করছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কাছে, তারা দেশপ্রেমিক?

Follow Us :

অনেকের ধারণা নরেন্দ্র মোদি বা আরএসএস–বিজেপির তাবড় নেতারা ২০২৪ নিয়ে খুব চিন্তিত, ২০২৪ নির্বাচন জেতার জন্য তাঁরা জান বাজি রেখে মাঠে নেমেছেন। একবারও খেয়াল করছেন না, আরএসএস–বিজেপি আস্তে আস্তে তাদের খোলস ছাড়ছে, ধীরে ধীরে তাদের আসল এজেন্ডাগুলোকে সামনে আনছে, যে এজেন্ডাগুলোকে নিয়েই আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে নাগপুরে আরএসএস পথচলা শুরু করেছিল। গুরু গোলওয়ালকর বলেছিলেন এক হিন্দুরাষ্ট্রের কথা, ঠিক সেই সময়ে সাভারকর তখন হিন্দু ঐক্যের কথা বলছেন, তাঁদের পলিটিক্যাল আউটফিট তখন হিন্দু মহাসভা, তারা বিভিন্ন রাজ্যে ফুট প্রিন্ট বাড়াচ্ছে, সঙ্গে আছে আরএসএস। সেই হিন্দু মহাসভা উঠে জনসংঘ হল, জনসংঘ উঠে বিজেপি হল, কিন্তু সংঘ থেকে গেল এক ছাতার মতো আকার নিয়ে। সেই ছাতার তলাতে বিজেপি, বিএমএস, ভারতীয় কিষাণ সংঘ, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, পরবর্তীতে বজরং দল ইত্যাদি আরও জঙ্গি বাহিনী, আরও অনেক পরে এই ছাতার তলায় নিয়ে আসা হয়েছে নারীদের, দুর্গা বাহিনী ইত্যাদি। উদ্দেশ্য, লক্ষ্য এক হিন্দু রাষ্ট্র স্থাপনা। তাদের খাতায় কাগজে কলমে আজ নয়, সেই ১৯২৫ থেকেই আছে, তাদের সংঘ লগীতিতে আছে, নমস্তে সদা বৎসলে মাতৃভূমে, ত্বয়া হিন্দুভূমে সুখং বর্ধিতোহম। কেবল মাতৃভূমি নয়, তা হিন্দুভূমি। এবং সেই সময়েই তাঁরা স্থির করে ফেলেছিলেন, এদেশের নাগরিক কারা? এদেশের নাগরিক তারাই যাদের পিতৃভূমি ভারতবর্ষ, মানে বাবা মা এখানে জন্মেছেন। পরের শর্ত কর্মভূমি, যাঁরা এদেশেই কাজকর্ম করে বসবাস করেন। তার পরের শর্ত হল এদেশ যাঁদের পূণ্যভূমি, মানে যাঁদের আরাধ্য দেবী দেবতা, পূজনীয়রা এদেশেই জন্মেছেন। কাবা বা মদিনা পূণ্যভূমি হলে আপনি ভারতীয় নন, বেথলেহেম বা ভ্যাটিক্যান সিটি আপনার পূণ্যভূমি হলে আপনি এদেশের নাগরিক নন। কোথায় বলা আছে? আরএসএস-এর কর্মসূচিতে। খুব পরিষ্কার করে বলা আছে। সেটাই হয়ে উঠবে আগামী নাগরিকত্বের নতুন আইন, বর্তমান আইনও সংশোধন হবে। তাঁরা যা যা বলেছেন সেগুলো করেছেন, বলেছেন ৩৭০ ধারা তুলে দেব, দিয়েছেন, বলেছেন বাবরি মসজিদ ভাঙা হবে, ভেঙেছেন, বলেছেন তিন তালাক আইন তুলে দেবেন দিয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন রাজ্যে ইউনিফর্ম সিভিল কোড এনে জল মাপছেন, নিশ্চিন্তে থাকুন এই নির্বাচন শেষ হলে সংসদেই সেই কানুন পাশ করানো হবে। তাঁরা বলেছেন সাফ করে কারা হতে পারে এই দেশের নাগরিক, তাঁরা সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছেন, এটা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এমনকী, যে এসব, তাদের খাতায় কলমে ছিল, তারা শুরু থেকেই এসব চেয়েছিল, দাবি করছিল, বলে আসছিল? না, একবারও না।

২০১৪-র আগে কতজন বিজেপি নেতার মুখে শুনেছেন যে নেহরু দেশকে ডুবিয়ে গেছেন, গান্ধী দেশকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, নাথুরাম গডসে দেশপ্রেমী ছিলেন। না, একবারও কেউ একথা বলতেন না, উল্টে সংসদ থেকে নর্থ ব্লকে যাওয়ার করিডরে নেহরুর একটা ছবি ছিল, সেটা কেউ সরিয়ে নেওয়ায় তা অটল বিহারী বাজপেয়ী খেয়াল করেন এবং সেই ছবি আবার সঠিক জায়গাতে রাখা হয়, এ গল্প উনি নিজেই সাংবাদিকদের কাছে করেছিলেন। কিন্তু আজ? সংসদে দাঁড়িয়ে একদা তড়িপার ঘোষিত অপরাধী অমিত শাহ নেহরুর সমালোচনা করতে গিয়ে বলছেন এই সমালোচনা করাটা তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার। নিশ্চয়ই অধিকার, সমালোচনা তো হওয়াই উচিত, বহু সমালোচনা তো আছেও, কিন্তু কিসের ভিত্তিতে? ইতিহাসের সামান্য ধার ধারে না যারা, ইতিহাসকে প্রতি মুহূর্তে যাঁরা বিকৃত করেই চলেছেন, তাঁদের মুখে নেহরুর সমালোচনা? একটা সরকার যে সরকার দেশের সংবিধান সাংবিধানিক কাঠামোকে ছিন্নভিন্ন করে নিজেদের দলকে, নিজেদের সাম্প্রদায়িক আদর্শকে তুলে ধরতে চায়, তারা করবে নেহরুর সমালোচনা? এই ক’দিন আগে এক অর্বাচীন বিচারপতি, সত্যিই লজ্জা লাগে এই অভিজিৎ গাঙ্গুলির সঙ্গে আমাদের দেশের উচ্চ আদালতের নাম জুড়ে আছে, এই লোকটি যিনি নিজেকে সাপ টাপও বলেন তিনি গান্ধী না গডসে? এই প্রশ্নের জবাবে উত্তরও দিলেন না। প্রশ্নকর্তা ততোধিক অর্বাচীন, রাষ্ট্রপিতা না রাষ্ট্রপিতার হত্যাকারী এমন এক বাইনারিতে এনে দাঁড় করানোর চেষ্টা করলেন, এবং কিছুদিন আগে বিচারপতির আসনে বসে থাকা আরেক অর্বাচীন হেসে বললেন এ প্রশ্নের জবাব এখনই দেব না, তাঁর উত্তর তাঁর কথা থেকেই পরিষ্কার। না, এসব কথা আগে শোনা যায়নি। আরএসএস প্রতিষ্ঠাতা গোলওয়ালকর নিজে লিখে গেছেন হিটলারের মতো সামরিক শাসনের প্রয়োজনীয়তার কথা। যাদের আইকন হল হিটলার, মুসোলিনি, যাদের ফ্যাসিবাদের শেকড় ইতালির থেকে নেওয়া, যারা পার্মানেন্ট সলিউশন টু দ্য জিউইস কোয়েশ্চেন-এর বদলে পার্মানেন্ট সলিউশন অফ দ্য মুসলিম কোয়েশ্চেন নিয়ে মত্ত তারা বলবে গণতন্ত্রের কথা? ফাসিস্ত দানব বলবে সবার সমান অধিকারের কথা? যারা গরু ছাগল ভেড়ার মতো সাংসদ বিধায়ক কিনে বেচে সরকার তৈরি করে, বিরোধীদের সরকার ভেঙে দেয়, তারা বলবে গণতন্ত্রের কথা? কোন মুখে? সূর্য ওঠার আগে রাজভবনে দল ভাঙিয়ে শপথ নেওয়ার পরের দিন যাদের মুখ পুড়েছে, তারা বলছে গণতন্ত্রের কথা? অতিমারির মধ্যে বিরোধী দলের সরকার ভাঙার জন্য যারা এমএলএ কিনে রেখে দেয় রিসর্টে, নির্বাচিত সরকার ফেলে দেয়, তারা গণতন্ত্রের কথা বলবে? যারা দেশের কোটি কোটি মানুষকে আড়ালে রেখে একের পর এক দেশের সম্পদ বেচে দিচ্ছে, তারা গণতান্ত্রিক? কোনও রকম আলোচনার সুযোগ না দিয়ে তড়িঘড়ি করে তিনটে কৃষি বিল পাশ করিয়ে যারা কৃষিক্ষেত্রকে দালাল কর্পোরেট হাউসের হাতে তুলে দিতে চায় তারা গণতন্ত্রের কথা বলবে আর আমরা শুনব? কেন?

দেশপ্রেম? কাদের মুখে শুনছি এ কথা? আরএসএস বিজেপির দেশপ্রেম? পাঁচ পাঁচটা চিঠিতে যাদের নেতা ফিলোজফার গাইড, সাভারকর কাকুতি মিনতি করে মুচলেকা দিয়েছে ইংরেজদের কাছে, যাতে ছত্রে ছত্রে আছে বীর সাভারকরের কাপুরুষতার কাহিনি, কীভাবে ইংরেজদের সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়ে ছাড়া পেতে চেয়েছিলেন আন্দামানের কারাগার থেকে, তারা দেশপ্রেমিক? সরসঙ্ঘচালক গোলওয়ালকর ইংরেজদের লিখছেন, কীভাবে ৪২-এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বিরুদ্ধে তারা ইংরেজদের পাশে দাঁড়াতে চায়। সঙ্ঘের প্রত্যেক সদস্যের কাছে নির্দেশ যাচ্ছে এই মর্মে, নির্দেশ যাচ্ছে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগদান না করার। যারা এই নির্দেশ দিচ্ছে, তারা দেশপ্রেমী? যারা মুসলিম লিগের হাত ধরে দেশটাকে দু’ টুকরো করার আবেদন করছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কাছে, তারা দেশপ্রেমিক? তাদের কাছ থেকে আমাদের দেশপ্রেম শিখতে হবে যারা জওয়ানদের লাশের উপর দিয়ে নির্বাচনী সাফল্য আনে, আনার চেষ্টা করে?

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | জেলে যাবেন নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদি?

যারা ৫৩ বছর জাতীয় পতাকা তাদের সদর দফতরে তোলেনি, তুলেছে ভাগওয়া ঝান্ডা তারা আজ জাতীয় পতাকার কথা বলছে। আম্বেদকর, সংবিধানের জন্য তৈরি গণপরিষদ নিয়েছিল এই ত্রিবর্ণ জাতীয় পতাকার সিদ্ধান্ত। কী ছিল তখন এই আরএসএস-এর ভূমিকা? তাদের পত্রিকা দ্য অর্গানাইজার-এ তারা লিখেছিল, “The people who have come to power by the kick of fate may give in our hands the tricolour but it will never be respected and owned by Hindus. The word three is in itself an evil, and a flag having three colours will certainly produce a very bad psychological effect and is injurious to a country.” লিখেছিল হিন্দুরা কখনও এই ত্রিবর্ণ পতাকাকে মেনে নেবে না, তিন সংখ্যাটাই হল অশুভ, তিনটে রং দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। হ্যাঁ, এ কথা আরএসএস-এর মুখপত্রে লেখা হয়েছিল, তারা আজ জাতীয় পতাকার কথা বলছে, তারা জাতীয় পতাকার সম্মান অসম্মান নিয়ে কথা বলছে? গোলওয়ালকর তাঁর বই বাঞ্চ অফ থটস-এর ড্রিফটিং ড্রিফটিং শিরোনামে লিখছেন, “Our leaders have set up a new flag for our country. Why did they do so? It is just a case of drifting and imitating. Ours is an ancient and great nation with a glorious past. Then, had we no flag of our own? Had we no national emblem at all these thousands of years? Undoubtedly we had. Then why this utter void, this utter vacuum in our minds?” তিনি বলছেন, আমাদের নেতারা যে নতুন পতাকা তৈরি করলেন তা মানুষের নজর সরিয়ে দেওয়ার জন্য, আমাদের কি অন্য কোনও পতাকা ছিল না? নিশ্চয়ই ছিল। আসলে তিনি ওই ভাগওয়া ঝান্ডার কথা বলছেন। তিনি হিন্দুরাষ্ট্রের ধারণা থেকেই কথাগুলো বলছেন, এদের কাছ থেকে জাতীয় পতাকার মান সম্মানের কথা শুনবে দেশের অন্নদাতারা? দেশের শ্রমিক, সাধারণ মানুষেরা? বাবরি মসজিদ ভাঙার জন্য যেদিন গিয়েছিল এই আরএসএস বিজেপির দল, সেদিন কি জাতীয় পতাকা নিয়ে গিয়েছিল? না, যায়নি, হাতে ছিল গেরুয়া ঝান্ডা। এইখানেই তফাত, আমাদের অন্নদাতারা তাদের দলের, সংগঠনের, ধর্মের যে পতাকাই লাগান না কেন, সঙ্গে জাতীয় পতাকা নিতে ভোলেননি। সেই অন্নদাতারা বলবেন, আমরা বলব জাতীয় পতাকার কথা, আরএসএস–বিজেপির কাছ থেকে বকওয়াস শুনব কেন?

এই রাজ্যে এই আরএসএস বিজেপির নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, যিনি ইংরেজদের কাছে চিঠি লিখে কীভাবে ৪২-এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনকে ব্যর্থ করা যায় তার পরিকল্পনার কথা লিখেছিলেন, সেই শ্যামাপ্রসাদের উত্তরসূরিরা আমাদের শেখাবে দেশ, দেশপ্রেম, জাতীয় পতাকা?

দেশের মাথায় যাঁরা মনুবাদকে চাপাতে চান, তাঁরা, তাদের মহান নেতা ক্ষণে ক্ষণে বলেন সবকা সাথ, সবকা বিকাশ! কিসের সবকা সাথ? মনুস্মৃতিতে সাফ বলা আছে মাথায় থাকবে ব্রাহ্মণ আর রাজপুতেরা, ব্যবসা করবে বৈশ্যরা আর সেবা করবে শূদ্ররা, কীভাবে? তাদের ঘরের মেয়েদের আখের খেতে নিয়ে গিয়ে চিৎ করে পেড়ে ফ্যালা হবে, ধর্ষণ করা হবে, হত্যা করা হবে, তারপর পুলিশি পাহারায় জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। উচ্চবর্ণের সেই জানোয়াররা মিছিল করবে জাতীয় পতাকা হাতে, এটা দেশ না দেশপ্রেম? এই সরসংঘচালক গোলওয়ালকর তাঁর বাঞ্চ অফ থটস-এ লিখছেন, “জাতিভেদ প্রথা আসলে দেশের দুর্বলতা নয়, দেশের শক্তি, জাতিভেদ প্রথা না থাকলে আমাদের দেশ কবেই বহিরাগত শত্রুর কাছে নতিস্বীকার করত।“ মানে এরা কেবল হিন্দুরাষ্ট্রই চায় না, এরা মনুবাদ চায়, চতুর্বণের প্রতিষ্ঠা চায়, এরা আমাদের সংবিধানে যে জাতিভেদ প্রথা তুলে জাতি ভাষা বর্ণ লিঙ্গ নির্বিশেষে মানুষের সমানাধিকার দেওয়া হয়েছে, তার অবসান চায়।

সেটাই তাঁদের লক্ষ্য, নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদির লক্ষ্য ২০২৫, আরএসএস-এর একশো বছরে হিন্দুরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা। এবং সংবিধানের, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর অবসান, সেই লক্ষ্য নিয়েই তাঁরা নেমেছেন, ২০২৪ তো মধ্যের এক মাইলস্টোন, আসল গন্তব্য তো ২০২৫।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
বাংলার ৪২ | বারাসতে কোন দল এগিয়ে?
05:05
Video thumbnail
চতুর্থ স্তম্ভ | Fourth Pillar | ২৫শে বৈশাখ, হে নূতন
12:55
Video thumbnail
আজকে (Aajke) | শুভেন্দু বলেছিলেন বোমা ফাটিবে, সে বোমা কোথায় ফাটিল?
10:04
Video thumbnail
Politics | পলিটিক্স (08 May, 2024)
12:46
Video thumbnail
বাংলা বলছে | রাহুলকে নিশানা, মোদির মুখে অম্বানি-আদানি, কত কালো টাকা নিয়েছে কংগ্রেস, প্রশ্ন মোদির
38:28
Video thumbnail
Beyond Politics | সন্দেশখালি, মণিপুর এবং নারীসম্মান
07:58
Video thumbnail
SSC Scam | নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সংক্ষিপ্ত রায়ে স্বস্তিতে রাজ্য সরকার
03:01
Video thumbnail
Suvendu Adhikari | আবার শুভেন্দুকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান
02:33
Video thumbnail
Narendra Modi | আম্বানি-আদানি নিয়ে রাহুল কেন নীরব, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী মোদির
05:16
Video thumbnail
ধর্মযুদ্ধে রণহুঙ্কার | রায় শুনে আমার মনস্নিগ্ধ হয়েছে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
04:19