কলকাতা: আবার আক্রান্ত কলকাতা টিভি। কলকাতা টিভির সম্পাদক কৌস্তুভ রায়ের হেদুয়ার বাড়িতে মঙ্গলবার ভোর থেকে ইডির তল্লাশি। কৌস্তুভের বৃদ্ধ বাবা-মা কার্যত গৃহবন্দি। গত ১৬ অগাস্ট ভোর থেকে আয়কর দফতর তল্লাশি চালিয়েছিল কলকাতা টিভির অফিসে, হেড অফিসে, সম্পাদকের বাড়িতে, মুখ্য সঞ্চালিকা-সহ সংস্থার একাধিক আধিকারিকের বাড়িতে। টানা ৮০ ঘণ্টা তল্লাশি চলে। কিন্তু আয়কর দফতর মাত্র ১৮ লক্ষ টাকা পেয়েছিল। রীতিমতো হতাশ হয়েছিলেন আয়কর দফতরের কর্তারা।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের আর একটি এজেন্সি সকাল থেকে অভিযানে নেমে পড়েছে কলকাতা টিভির সম্পাদকের বাড়িতে। ওই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্টজনেরা। রাজনৈতিক মহল বলছে, কলকাতা টিভি শিরদাঁড়া সোজা রেখে খবর সম্প্রচার করে, কেন্দ্রীয় সরকারের নানা জনবিরোধী নীতির সমালোচনা করতে ভয় পায় না। তাই শাসক বিজেপির যত আক্রোশ কলকাতা টিভির উপর।
আরও পড়ুন: Hunger Strike: বালিগঞ্জে অসুস্থ অনশনকারী চাকরিপ্রার্থী, দুদিন ধরে চলছে অবস্থান
কে কী বলছেন, দেখে নেওয়া যাক-
তৃণমূল সাংসদ শান্তুনু সেন বলেন, কলকাতা টিভি মাথা উঁচু করে বিজেপির বিরোধিতা করে। নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা করে। তাই তাদের উপর এই আক্রমণ। এর আগেও কলকাতা টিভির দফতরে আয়কর দফতর তল্লাশি চালিয়েছিল। ইডি হানার তীব্র নিন্দা করি।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, এই হানার তীব্র নিন্দা করি। সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কলকাতা টিভির উপর বারবার আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। এই হানাকে ধিক্কার জানাই।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অমল মুখোপাধ্যায়ও তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের উপর এ ধরনের আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না। বারবার একই ঘটনা ঘটছে।
প্রবীণ সঙ্গীতশিল্পী এবং প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমন বলেন, কলকাতা টিভি মেরুদণ্ড সোজা রেখে শাসকের চোখে চোখ রেখে কথা বলে। তাই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে বারবার তাদের পিছনে। এর আগেও কলকাতা টিভির বিভিন্ন দফতরে আয়কর হানা হয়েছে। এভাবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, এতে কি কেন্দ্রীয় সরকারের সম্মান বাড়ছে? আমি চাই, কেন্দ্রীয় সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
